চীন ১২৪ মাইল দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হাইপারসনিক নৌ-কামান তৈরি করেছে। এ দিয়ে শব্দের চেয়েও সাত গুণ বেগে গোলা ছোঁড়া যাবে এবং এটি ২০২৫ সালের মধ্যে যুদ্ধে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। আর এ কামান তৈরির মাধ্যমে আমেরিকাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেল চীন।
বেইজিংয়ের অন্যতম অতি গোপন সামরিক প্রকল্পের অংশ হিসেবে রণতরীতে স্থাপনযোগ্য এই মহাঅস্ত্র তৈরি হচ্ছে। একে বিশ্বের প্রথম বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় রেলগান হিসেবে দাবি করা হয়েছে। চীনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে আরো বলা হয়েছে টানা ২০ বছর ধরে গবেষণা এবং উন্নয়নের ভিত্তিতে গত বছর এই মহাকামানের পরীক্ষা চালানো হয়। এর গোলার গতি সেকেন্ডে আড়াই কিলোমিটার বা ১.৫৫ মাইল। চীনের তৈরি অত্যাধুনিক টাইপ ০৫৫ ডেস্ট্রয়ারে এটি বসানো যাবে।
রেলগানের পরীক্ষা করছে চীনা রণতরি
এর আগে গত এক দশকের বেশি সময় ধরে রেলগান তৈরির গবেষণায় কোটি কোটি ডলার ঢেলে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে আমেরিকা। পরিণামে ওয়াশিংটন গত বছর এ জাতীয় তৎপরতা থেকে সরে আসার ঘোষণাও দিয়েছে।
রেলগানকে ভবিষ্যৎ যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে অনেককাল ধরে উল্লেখ করা হচ্ছে। এ দিয়ে শব্দের চেয়ে ৬ গুণ বেশি বা মাক ৬ গতিতে গোলা ছোঁড়া যাবে। এ জাতীয় কামান থেকে ছোঁড়া গোলার গতি ঘণ্টায় সাড়ে চার হাজার মাইলের বেশি হবে।
কিন্তু চীনা রেলগান থেকে ছোঁড়া গোলার গতি ঘণ্টায় ৫৬০০ মাইল বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনা রেলগানে গোলা ছোঁড়ার জন্য গতিশক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে রণতরিতে বিস্ফোরক রাখার মতো বিপজ্জনক ঝামেলা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। এদিকে, মার্কিন নৌবাহিনী একে সত্যিকার অর্থেই যুদ্ধের ধরণ বদলে দেয়ার পদক্ষেপ হিসেবে মন্তব্য করেছে।