চার শর্ত মেনে ময়মনসিংহে আজ চালু হয়েছে আন্তঃজেলা বাস। মময়মনসিংহ নগরীর বিভিন্ন টার্মিনাল থেকে চলছে কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনাসহ কয়েকটি রুটে বাস। যদিও যাত্রীদের সংখ্যা বেশ কম দেখা গেছে।
এক মাস ১৯ দিন পর সোমবার (২৪ মে) থেকে বিধিনিষেধে শিথিলতা এনে আন্তঃজেলা সব গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার।
রোববার (২৩ মে) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত জরুরি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত আন্তঃজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন নিম্নোক্ত শর্তসাপেক্ষে চলাচল করতে পারবে—
১. কোনো পরিবহনই মোটরযান রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উল্লেখিত মোট আসন সংখ্যার অর্ধেকের (৫০ ভাগ) বেশি যাত্রী বহন করতে পারবে না।
২. সরকারি সমন্বয় করা ভাড়ার (বিদ্যমান ভাড়ার ৬০ ভাগ বৃদ্ধি) অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না।
৩. প্রতি ট্রিপের শুরু ও শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৪. পরিবহন সংশ্লিষ্ট মোটরযান চালক, অন্যান্য শ্রমিক কর্মচারী ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে সরকারের অন্যান্য নির্দেশাবলী যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
সরেজমিনময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন জেলাগামী সারি সারি বাস যাত্রী নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। যাত্রীদের সংখ্যা খুবই কম।
এ বিষয়ে ঢাকা ঢাকা রুটের এনা পরিবহনের ম্যানেজার বলেন, ‘অফিস ডে, প্রচণ্ড গরম। যার কারণে যাত্রীসংখ্যা কম। আশা করছি, বিকেল নাগাদ যাত্রী বাড়বে। আমরা সরকারি নিয়ম মেনে গাড়ি চালাচ্ছি। আগে ভাড়া ছিল ২২০ টাকা, এখন ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি দুই সিটে একজন নিয়ে ভাড়া পড়ছে ৩৫০ টাকা।’
ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটের সৌখিন বাসের চালক মো. রাসেল মিয়া বলেন, ‘এক মাস ১৯ দিন বাস বন্ধ ছিল। আমরা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটিয়েছি। এখন বাস চালু হয়েছে। সরকারি নিয়ম মেনে বাস চালাবো। আজ যাত্রী কম হলেও আস্তে আস্তে বাড়বে। বাস চালানোর অনুমতি দেওয়াতে সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’
ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, মহাখালী, শেরপুর, টাঙ্গাইল, নেত্রকানা, জামালপুরসহ বিভিন্ন রুটে সকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলাচল করে। যার মধ্যে রয়েছে— এমকে সুপার, শ্যামল ছায়া, এনা, সৌখিন, ইমাম, শ্যামলী বাংলা, আলম এশিয়া, রাজিব, শাহজালাল, ড্রিমল্যান্ড, সোনার বাংলাসহ আরও কয়েকটি নামের বাস।