ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে নোম্যান্সল্যান্ড অতিক্রম করে ভারতীয় বন্য হাতীর দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করায় সীমান্তে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ভূবনকুড়া ইউনিয়নের মহিষলেটি, ধোপাঝুড়ি ও বানাই চিরিঙ্গীপাড়া গ্রামে গত দুই দিন যাবত প্রায় ২৫/৩০ টি ভারতীয় জংলী হাতী সীমান্ত সংলগ্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন বনজ ও ফলজ বিশেষ করে কাঁঠাল বাগানে ঢুকে ক্ষতি সাধন করছে। এতে নির্ঘুম আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছে সীমান্তবর্তী লোকজন।
স্থানীয়রা জানায়, ভারতীয় বন্য হাতির তান্ডবে প্রতিবছর বোর ও আমনের আবাদী ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়। বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে ফেলে এবং গাছের কাঁঠাল খেয়ে সাবার করে। হাতীর দল এখনো এলাকাতেই অবস্থান করছে। দিনের বেলায় জঙ্গলের ঝোপঝাড়ে অবস্থান করলেও সন্ধ্যায় নেমে আসে সমতলে। আর এতে সীমান্তবর্তী লোকজন পরিবার পরিজনদের নিয়ে নির্ঘুম আতঙ্কের মধ্য দিয়ে রাত কাটাচ্ছেন। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদেরকে হাতি তাড়াতে কোন সহযোগিতা করছেন না। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী সরকারি সহযোগিতা কামনা করেন।
হাতির আক্রমণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন ভূবনকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম সুরুজ মিঞা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। হাতি তাড়াতে ভুবনকুড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টর্চালাইট, পটকা ও মশাল সরবরাহ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজাউল করিম বলেন, ভারতীয় বন্য হাতীর দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার বিষয়টি উপজেলা ও জেলা প্রশাসন অবগত আছেন। এ বিষয়ে ভূবনকুড়া ইউপি চেয়ারম্যানকে স্থানীয়ভাবে হাতি তাড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে বলা হয়েছে।
প্রতি বছর ভারতীয় হাতির দল বাংলাদেশে ঢুকে ফসল ও ঘরবাড়ির ক্ষতি সাধন করে থাকে। এ অবস্থায় সীমান্তবর্তী কৃষকদের ফসল ও জান-মালের নিরাপত্তায় হাতি আসা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে দু’দেশের সরকার এমনটাই প্রত্যাশা সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের।