নেত্রকোনায় ১১ বছরের এক শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাসন। শিশুটিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সোমবার ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটে পাঠানো হয়েছে সরকারি খরচে। গত এক বছর ধরে শিশুটি দিনে দিনে অসুস্থ হয়ে জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে পৌঁছে।
জানা যায়, নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের ফচিকা গ্রামের তারেক মিয়ার ১১ বছরের শিশু রিমু আক্তার গত তিন বছর আগে পাথর দারা কপালে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। অন্য শিশুদের সাথে খেলা করার সময় অপর শিশুদের ছোড়া পাথরে আঘাত পেয়ে গুরুতর জখম হয়।
পরে ঢাকা মেডিকেলে একটি অপারেশন করে আনলেও গত এক বছর ধরে ইনফেকশন (সংক্রমণ) হয়ে পুরো মুখ নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে শিশুটিকে নিয়ে দিন কাটে দরিদ্র বাবা তারেকের। কিন্তু চিকিৎসা করানোর মতো তার ক্ষমতা নেই।
এই বিষয়টি স্থানীয় পথ শিশু ফাউন্ডেশনের শিশুদের নজরে আসলে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেয় তারা। পরে এটি দেখে জেলা প্রশাসক কাজি মো. আব্দুর রহমান শিশুটির পরিবারকে নগদ ২৫ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেন। সেই সাথে ঢাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে কথা বলে সাবির্ক দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় পাঠান। চিকিৎসা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত শিশুর দেখভালসহ সকল দায়িত্ব জেলা প্রশাসক পালন করবেন বলেও আশ্বাস প্রদান করেছেন।
পথশিশু ফাউন্ডেশনের সভাপতি খাইরুল ইসলাম জানান, তারা ওই এলাকার এক সদস্য মারফত এমন অসহায় এক শিশুর খোঁজ পান। পরে তারা শিশুটিকে নিয়ে ফেসবুকে মানবিক পোস্ট করে চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসার অনুরোধ করলে বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে আসে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, আমরা শিশুটির খোঁজ পেয়ে তাকে সহায়তার জন্য প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। পরে ঢাকায় ডাক্তার হাসিবুর রহমানের সাথে কথা বলে এখন শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটে পাঠিয়েছি।
শিশুটির মামা আমিনুল ইসলাম মাসুম বলেন, দরিদ্র পরিবার। প্রথমে যে চিকিৎসা করে আনা হয়েছিল এরপর থেকে এটি বাড়তে বাড়তে এই অবস্থা হয়েছে। গত ৬ মাস ধরে খুব খারাপ হয়েছে আমার ভাগ্নির।