ভারতের নদীয়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় এক বাংলাদেশি মহিলাকে অবৈধভাবে সীমা অতিক্রমের সময় আটক করে বিএসএফ। জানা গেছে, ওই মহিলার বাড়ি ময়মনসিংহে। গতকাল শুক্রবার সকালে এক যুবক সহ এই মহিলাকে দেখতে পেয়ে তাদেরকে থামতে বলেন বিএসএফ। কিন্তু সেই সময়ে ওই যুবক পাটক্ষেত থেকে পালিয়ে যান। অবশেষে বিএসএফ জওয়ানরা ওই মহিলাকে আটক করে।
ওই নারীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, তার স্বামী তাকে এবং তার বোনকে তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে ভারতীয় দালাল রাহুল নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল। পাঁচমাস আগে মুহাম্মদ ইউসুফ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ হয় এই মহিলার। এরপরই প্রবীণ এবং বাপি নামের ২ জন লোকের সাহায্যে দীঘা সমুদ্র সৈকতে দেহ ব্যবসায় তাদেরকে লিপ্ত করা হয়েছিল। মহিলাটি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, এই পাশবিকতা থেকে বনগাঁর এক দালালের সঙ্গে দেখা করে এই নরক থেকে বাইরে বেরনোর চেষ্টা করেন তিনি। তার বোন ইতিমধ্যে বাংলাদেশে চলে গিয়েছেন। ওই দালালের সহকর্মী কালুর সহায়তায় সীমান্ত অতিক্রম করতে যাচ্ছিলেন তিনি। শরীফ এই কাজের জন্য তার কাছ থেকে ১৫০০০ টাকা নিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই মহিলাকে আরও আইনি কার্যক্রমের জন্য নদীয়ার ধানতলা থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের মুখপাত্র ও ডিআইজি শ্রী সুরজিৎ সিং গুলেরিয়া অষ্টম বাহিনীর কমান্ডিং অফিসারকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, এ ধরণের অপরাধে জড়িত দালালদের বিরুদ্ধে যৌথ ব্যবস্থা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সূত্র: ভারতের দৈনিক আজকাল