প্রেম করে কোর্টে বিয়ে করার ২০দিন পর প্রেমিকের বাড়ির আঙিনা থেকে মাটি খুঁড়ে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার করলো পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় অষ্টাধার ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জিয়ারুলের বাড়ি থেকে স্কুল ছাত্র আকাশ মিয়ার (১৭) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ইউপি সদস্যের স্ত্রী রোজিনা আক্তার ও তার ভাইয়ের স্ত্রী নার্গিস আক্তারকে আটক করা হয়। নিহত আকাশ মিয়া উপজেলার অষ্টাধর ইউনিয়নের ভুগলি মন্ডলবাড়ি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আকরাম হোসেনের ছেলে। সে অষ্টধার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেনীর ছাত্র।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, সদর উপজেলার অষ্টধার ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জিয়ারুলের মেয়ে জেসমিন আক্তারের সাথে সাবেক ইউপি সদস্য আকরাম হোসেনের ছেলে আকাশ মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
গত ২ মে পরিবারকে না জানিয়ে তারা কোর্টে বিয়ে করে। গত বুধবার জেসমিন মোবাইলে ফোন করে আকাশ মিয়াকে তাদের বাড়িতে ডেকে আনার পর থেকেই আকাশ নিখোঁজ হয়।
বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ শুক্রবার বিকেলেই ইউপি সদস্য জিয়ারুলের বাড়ি যায়। বাড়ির লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আঙিনায় রক্তের ছাপ দেখে পুলিশ বাড়ির আঙিনায় তল্লাসী শুরু করে। এক পর্যায়ে রান্নাঘরের পিছনে নতুন মাটিখুড়া দেখে পুলিশের সন্দেহ হয় এবং মাটিখুঁড়ে অর্ধগলিত আকাশের লাশ উদ্ধার করে। আকাশের চোখ উপড়ানো ছিল এবং হাত-পা ভাঙা ছিল।
রাতেই আকাশের পিতা ১৪ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য জিয়ারুলের স্ত্রী রোজিনা আক্তার ও তার ভাইয়ের স্ত্রী নার্গিস আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ইউপি সদস্য জিয়ারুল তার মেয়ে জেসমিন ও দুই ছেলেসহ পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ##