৯ বন্ধু মিলে শ্বাসরোধে হত্যা করে এক তরুণীকে। ঘটনার ২০ দিন পর হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত জুয়েল আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। জুয়েলকে গ্রেফতারের পর গত মঙ্গলবার আদালতে তোলা হয়। সে ১৬৪ ধারায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দেয়। জবানবন্দীতে জুয়েল জানায়, সে এবং তার আট বন্ধু মিলে তরুণীকে হত্যা করেছে। যৌনকর্মের পর টাকা নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে তারা শ্বাসরোধে ওই তরুণীকে হত্যা করে। তবে তরুণীর নাম ঠিকানা জানা যায়নি।
গত ৮ জানুয়ারি অসামাজিক কাজ করার জন্য রাতে রাস্তা থেকে ২২ বছরের এক তরুণীকে ফতুল্লার ভোলাইলের একটি মাঠে নিয়ে যায় জুয়েল ও তার বন্ধুরা। পরে টাকা নিয়ে ওই তরুণীর সাথে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে জুয়েল ও তার বন্ধুরা মিলে মেয়েটিকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই তরুণীকে হত্যা করে মাঠেই ফেলে রেখে যায় তারা। গত ৯ জানুয়ারি ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার ২০ দিনের মাথায় জুয়েলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জুয়েল জবানবন্দীতে জানান, ওই রাতে তারা ৯ জন ছিল। টাকা নিয়ে ঝামেলা হওয়াতে একপর্যায়ে সবাই মিলে ওই তরুণীকে খুন করে। জুয়েল আদালতে বাকি আসামিদেরও নাম প্রকাশ করেছে। গ্রেফতার জুয়েল ভোলাইল এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (আইসিপি) গোলাম মোস্তফা জানান, আসামি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে ও কিলিংমিশনে থাকা বাকিদের নাম জানিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে সবার নাম প্রকাশ করা সম্ভব নয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতার ও নিহতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।