দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সম্ভাব্য সব প্রর্থীরা। আর এই আসনের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীর সংখ্যাও প্রায় ডজন খানি। আর মধ্যে র্দীঘ দিন ধরে প্রার্থীতার জানান দিয়ে আসছেন শ. ম. জয়নাল আবেদিন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাবেক পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ২০১১ সালে পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী এই নেতা সবসময় দলের জন্য কাজ করে আসছে। তৃণমূল পর্যয়ের নেতাকর্মীর কাছেও বেশ জনপ্রিয়তা আছে তার। আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতি মধ্যে এলাকার বিভিন্ন বাজার পাড়া মহল্লায় প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছেন তিনি। শ. ম. জয়নাল আবেদীন মাত্র ১৮ বছর বয়সে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যোগদেন আওয়ামী লীগে। তরুণ বয়সে দলের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বার বার নির্যাতিত হন তিনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দলের প্রতি ভালবাসা তাকে শক্তি যুগিয়েছে। আর এর প্রমাণ মিলেছে দীর্ঘ ২১ (একুশ) বৎসর সততার সাথে দুর্গাপুর ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে। পরবতীতে ১৯৯৮ সাল নতুন করে পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব গ্রহন করেন তিনি। এখানেও ২০১৪ সাল পর্যন্ত র্দীঘ ১৭ বৎসর দলের দায়িত্ব পালন করে দলেকে সুপথে চালনা করেছেন তিনি। এর মাঝে ২০০১ সালের বিএনপি জামায়াত সহ চার দলীয় জোট সরকারের হাতে নির্যাতিত হয়ে বেশ কয়েক বার কারাবাসও বরণ করতে হয়ে তাকে। ২০১১ সালে দুর্গাপর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী হয়ে দলের তৃণমূলের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে মেয়র প্রার্থী হন তিনি। মেয়র থাকাকালীন পৌর শহরের রাস্তা ঘাট র্নিমাণ, পরিস্কার পরিছন্ন রাখা, জলবদ্ধতা রোধে ড্রেইন র্নিমাণ সহ বিভিন্ন কাজ সততা, নিষ্ঠা, এবং বিশ্বস্থতার সাথে পরিচালনা করে পৌরবাসীর জীবনমান উন্নয়নে বেশ ভ’মিকা রেখেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ র্নিবাচনে স্থানীয় সংসদ মানু মজুমদারের প্রচার প্রচারনায় বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলেছে তাকে। দিনে রাতে তিনি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রচারনাও চালিয়ে ছিলেন। শুধু নেতৃত্ব দানে তিনি সীমাবদ্ধ নয় সামাজিক কর্মকান্ডের তার উল্লেখযোগ্যতা দেখা যায় সর্বত্র। জয়নাল জুবাইদা মডেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি থেকে শুরু করে দ্বীনি আলিম মাদ্রাসা, সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়ের বিদ্যুৎসাহী সদস্য সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন তিনি। শ. ম. জয়নাল আবেদীন বলেন, আমার কাছে আওয়ামী লীগ শুধু একমাত্র একটি রাজনৈতিক দল নয় এটি আমার কাছে একটি পরিবার আর দলের সকল নেতা কর্মীরা আমার পরিবারের সদস্য মনে করি। আমি সাধারণ মানুষের জীবন মান উন্নয়ন, মাদক, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে নির্বাচনে এসেছি। যদি জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে অত এলাকার মানুষের জন্য কাজ করা সুযোগ দেয় তাহলে সততার সাথে দায়িত্বও পালন করে যাবো। এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা বলছেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদটি গুরুত্বপূণ একাট আসন। দলের কাছে জন সাধারণের জীবনমান তুলে ধরতে এই পদটি বিশেষ ভ’মিকা রাখে। সত্য ও দক্ষ ব্যক্তিই এই পদের উপযুক্ত প্রার্থী।