চলমান লকডাউনের মধ্যে ২২ কার্যদিবসে সারাদেশে ৭৪ হাজার ৪২৮টি মামলায় জামিনের দরখাস্ত ভার্চুয়াল শুনানির ৪০ হাজার চারজন কারাবন্দী আসামিকে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন নিম্ন আদালত।
আর ১৬ মে সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে ১ হাজার ৬৩টি ফৌজদারি মামলায় ভার্চুয়াল শুনানিতে জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি হয় এবং ৫৮৬ জন হাজতি অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিনপ্রাপ্ত হয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ও মুখপাত্র মুহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিগত ১২ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় ভার্চুয়াল আদালত শুরু হওয়ার পর ১২ এপ্রিল থেকে ১৬ মে পর্যন্ত মোট ২২ কার্যদিবসে সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে ৭৪ হাজার ৪২৮টি মামলায় জামিনের দরখাস্ত ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয় এবং মোট ৪০ হাজার চারজন হাজতি অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিনপ্রাপ্ত হয়ে কারাগার মুক্ত হয়েছেন।
এর মধ্যে ২২ কার্যদিবসে ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে মোট জামিনপ্রাপ্ত শিশুর সংখ্যা ৫৩০ জন।
করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনে সারা দেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন এবং অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তের ওপর শুনানি হচ্ছে।
ভার্চুয়াল শুনানি নিয়ে গত ১২ এপ্রিল এক হাজার ৬০৪ জন, ১৩ এপ্রিল তিন হাজার ২৫৯, ১৫ এপ্রিল দুই হাজার ৩৬০ জন, ১৮ এপ্রিল এক হাজার ৮৪২, ১৯ এপ্রিল এক হাজার ৬৩৫, ২০ এপ্রিল এক হাজার ৫৭৬, ২১ এপ্রিল এক হাজার ৩৪৯, ২২ এপ্রিল এক হাজার ৫৯২ জন, ২৫ এপ্রিল ১ হাজার ৮৩৯ জন, ২৬ এপ্রিল ১ হাজার ৫৯৩ জন, ২৭ এপ্রিল ১ হাজার ৩৯৫ জন, ২৮ এপ্রিল ১ হাজার ৪২২, ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ৪১২ জন, ২ মে ১ হাজার ৭২১ জন, ৩ মে ১ হাজার ৭১৪ জন, ৪ মে ১ হাজার ৫৩৬ জন, ৫ মে ১ হাজার ৪৪৭ জন, ৬ মে ১ হাজার ৯১৭ জন, ৯ মে ২ হাজার ৬৪২ জন, ১১ মে ৩ হাজার ১৫০ জন এবং ১২ মে ২ হাজার ৪১৮ জন কারাবন্দী আসামিকে জামিন দেন নিম্ন আদালত।
লকডাউনের মধ্যে আদালতের কার্যক্রম চালাতে প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে ১১ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো: গোলাম রব্বানী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাদুর্ভূত মহামারীর করোনাভাইরাস ব্যাপক বিস্তার রোধে আগামী ১২ এপ্রিল থেকে পরে নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তগুলো নিষ্পত্তি করার উদ্দেশে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
এর আগে ভার্চুয়াল আদালত শুরু হওয়ার পর প্রথম দফায় ২০২০ সালের ১১ মে থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৫৮ কার্যদিবসে সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়াল শুনানিতে মোট এক লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৯টি ফৌজদারি মামলায় জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি হয় এবং ৭২ হাজার ২২৯ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির (শিশুসহ) জামিন মঞ্জুর করা হয়।