স্বয়ংক্রিয় লাইক দেওয়ার ফিচারের চালু করায় বিশ্বজুড়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মুখে জেরুজালেম প্রেয়ার টিম নামের একটি পেজ রিমুভ করে দিয়েছে ফেসবুক।
সামাজিক মাধ্যমে এটিকে ‘ডিজিটাল বর্ণবাদ’ হিসেবে সমালোচনা করা হয়েছে। পেজটিতে মুসলমানরা অনবরত রিপোর্ট করতে থাকলে এটি সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় ফেসবুক।
গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের মধ্যেও দখলদার দেশটির পক্ষে ভুয়া সমর্থন দেখাতে পেজটি তৈরি করেছিল ফেসবুক। পরে মানুষের সম্মতির বাইরে তাতে লাইক দেওয়ার ফিচার চালু করেছিল তারা।
এতে প্রায় সাত কোটি ৬০ লাখ লাইক পড়ে গিয়েছিল পেজটিতে। এমনকি অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী জানতেনও না যে তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে ওই পেজটিতে লাইক দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলের মানবতাবিরোধী অপরাধে পক্ষে ভুয়া সমর্থন দেখাতে ফেসবুক সব চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন নেটিজেনরা।
আর অধিকাংশ লাইক এসেছে মুসলিমপ্রধান দেশগুলো থেকে। পেজটির নাম জেরুজালেমের নামে হলেও তাতে ফিলিস্তিনি সম্পর্কিত কোনো তথ্য ছিল না।
অনেক আগেই এই পেজটি খোলা হয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েল-ফিলিস্তিন লড়াইয়ের মধ্যে অটো-লাইকিং ফিচারের মাধ্যমে জেরুজালেম প্রেয়ার টিম নামের পেজটিকে বুস্ট করা হয়েছিল।
ফিলিস্তিনে যখন নারী-শিশুসহ নিরপরাধ মানুষের রক্ত ঝড়ছে, তখন এই পেজটিকে বুস্ট করে ফেসবুক। যা সামাজিকমাধ্যমটির একতরফা পক্ষপাত বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ নিয়ে মুসলমানদের তরফে বিরূপ সমালোচনা আসতে থাকে। মুসলমানদের এই পেজটিতে রিপোর্ট করতেও অনুরোধ করা হয়েছে।
মূলত সামাজিকমাধ্যমে দখলদার ইসরায়েলের ভাষ্য তুলে ধরতেই পেজটি খোলা হয়েছিল। বর্তমানে ইসরায়েলবিরোধী কোনো বক্তব্য ফেসবুকে প্রচার করা হলে, তা তাৎক্ষণিকভাবে মুছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এমনকি শেখ জাররাহ পাড়াটিতে ইসরায়েলি রক্তপাত নিয়ে বিভিন্ন পোস্টও মুছে দিয়েছে ফেসবুক বলে অনেক নেটিজেনের অভিযোগ।