ইসরায়েলের নারীরা বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী বলে খ্যাত। তারা স্বভাবে অন্যান্য দেশের নারীর তুলনায় বেশ উগ্র। টাকার জন্য তারা সব করতে পারে। এমনকি পতিতাবৃত্তিও। মিশেল রোজেন নামক ইসরায়েলের এক নারী সাংসদ এ তথ্য প্রকাশ করেন। এসব নারীরা বিভিন্ন দেশের ক্ষমতাধর রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে অবাধে মেলামেলা করার সুযোগ খোঁজেন। মূলত আরব নেতাদের নৈতিকভাবে ধ্বংস করতে ও ইসরায়েল বিরোধীতার পথ থেকে দূরে রাখতে তারা এই কৌশল গ্রহণ করে।
১৯৪৯ সালে ইসরায়েলে পতিতাবৃত্তি বৈধ ছিল। যদিও ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত সমকামী পতিতাবৃত্তি ছিল নিষিদ্ধ। তবে ১৯৬২ সালে ঘরে পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ থাকলেও রাস্তায় নিষিদ্ধ ছিল না। এটি ইসরায়েলি ফৌজদারী আইন ১৯৬৬, ধারা ১৯৯-২০২ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল। ১৯৭০ এর দশক পর্যন্ত এটি নির্বিঘ্নে চলমান বিষয় ছিল। ১৯৯০ এর দশকে অন্যান্য দেশের মতো, নারী নির্যাতন, নারী পাচার একটি রাজনৈতিক বিষয় হয়ে ওঠে। ২০০৩ সালে, ইসরায়েল একটি আইন পাস করে, যা রাষ্ট্রকে পাচারের মুনাফা বাজেয়াপ্ত করার অনুমতি দেয়। তবে নজরদারি গোষ্ঠী দাবি করে, এটি খুব কমই কার্যকর। ২০০৭ সালে একটি বিজ্ঞাপনকে নিষিদ্ধ করা হয়।
এটি নিয়ে অনেক বিতর্ক শুরু হয়। ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ইসরায়েলের সংসদে একটি বিল উত্থাপন করা হয়, যা ছিল যৌন সংশ্লিষ্ট ক্রয় বিষয়ক। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আরেকটি খসড়া বিল মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছিল। দণ্ডবিধি থাকা সত্ত্বেও, পতিতাবৃত্তি ব্যাপক বৈধতা লাভ করে এবং সামাজিক নিয়মকানুন পতিতাবৃত্তি এবং পাচারের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে। উইকিপিডিয়ার তথ্যানুসারে জানা যায়, যৌন বাণিজ্য থেকে ইসরায়েল প্রতি বছর ৫০০ মিলিয়ন ডলার রাজস্ব আয় করে থাকে।