শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সদ্য বিদায়ী ভিসির অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া ব্যক্তিদের যোগদান স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে বিদায়ী ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান জানিয়েছেন, তিনি মানবিক বোধ থেকেই বিদায় বেলায় ১৪১ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন।
তিনি জানান, এখানে যারা এ নিয়োগটা ডিজার্ব করে তারাই পেয়েছে। আমি মানবিক কারণে তাদের নিয়োগ দিয়েছি। তাদের প্রত্যেকেই অনার্স-মাস্টার্স পাস। তারা একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীর একটা চাকরি করবে, আমি মনে করি এটা যৌক্তিক। তারা আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তাদের ক্রমাগত দাবিতে আমি মানবিক বোধ করেছি তাদের চাকরি পাওয়া উচিত। তাদের চাকরি দিয়েছি, কেউ আমাকে বলেনি।
শনিবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক পত্রের মাধ্যমে ৫ মে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগকৃত সকলের নিয়োগ ‘অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে’। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিধায় তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে কোনোরূপ সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তদের যোগদান ও তদসংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখতে অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন, নিয়োগ পাওয়ার পর যোগদানের অনেকগুলো প্রক্রিয়া আছে। এর মধ্যে অন্যতম যে বিভাগে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ওই বিভাগ বা দফতরের প্রধানের থেকে একটি সুপারিশ নিয়ে আসতে হবে। তারপর রেজিস্ট্রার দফতর থেকে আরো কয়েকটি প্রক্রিয়া শেষে নিয়োগ কার্যকর হবে। যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন, এ কারণে যোগদান স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও দফতরকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে বিজ্ঞপ্তিটি সংশ্লিষ্ট দফতর, বিভাগ, হল ও অনুষদগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ৫ মে ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ১৩৭ জনের নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করেন। পর দিন ৬ মে ভিসির চাকরির মেয়াদের শেষ দিন তার বাসভবনে নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করেন নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। তবে সেটি যোগদান হয়নি বলে জানাচ্ছে রাবি প্রশাসন।