হাতের একটা ব্রেসলেট নিয়ে দ্বন্ধের জের ধরে বন্ধুরাই খুন করছে হোসিয়ারি শ্রমিক সিয়ামকে (১৮) খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সিয়ামের বন্ধু নিলয়কে (১৮) গ্রেফতার করার সিয়ামকে তারা শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনা স্বাকীর করে। ব্রেসলাইট নিয়ে দ্বন্ধের জের ধরে সিয়ামকে খুন করে বলে নিলয় জানায়। সোমবার সিয়ামের লাশ পাওয়ার পর তার বন্ধু নিলয়কে আটক করে পুলিশ।
সোমবার সকালে শহরের ডিআইটি কলোনির পিছন থেকে সিয়ামের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। সিয়াম হত্যায় তার বাবা সোহেল মিয়া বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
সিয়াম নারায়ণগঞ্জের উকিলপাড়া এলাকায় অবস্থিত আজিজুর রহমানের হোসিয়ারীর শ্রমিক ছিলেন। নিহত সিয়াম ফতুল্লা দেওভোগ পানির ট্যাংকী এলাকার বাজনাপট্রি এলাকার হামিদার বাড়ির ভাড়াটিয়া সোহেল মিয়ার ছেলে।
সিয়ামের মা শিউলী বেগম জানান, একটি হাতের ব্রেসলেট নিয়ে সিয়ামের সাথে তারই বন্ধু একই এলাকার হোসিয়ারী শ্রমিক নিলয়, আকাশ,জুম্মন,বাবু ও আরাফতের সাথে গত তিন মাস আগে থেকে দ্বন্ধ চলে আসছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ইতিপূর্বে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছিল এবং বিচার শালিসীও হয়েছিল। আর সেই সূত্র ধরে রোববার রাত ১০টায় সিয়ামকে ফোন করে নিলয়। এরপর সে বাসায় ফিরে না যাওয়ায় সকালে পরিবারের লোকজন সিয়ামকে খুজতে বের হয়।
এসময় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে শহরের ডিআইটি কলোনির পিছনে পরে থাকা লাশ দেখে সিয়ামের লাশ সনাক্ত করা হয়। তাই নিলয়, আকাশ, জুম্মন, বাবু, আরাফাত মিলে সিয়ামকে হত্যা করে বলে শিউলী বেগম অভিযোগ করেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, একটি ব্রেসলাইট নিয়ে বিরোধের জের ধরে নিলয়সহ তার বন্ধুরা মিলে বাসা থেকে ফোন করে ডেকে এনে সিয়ামকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে এটা প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। সিয়ামকে হত্যার অভিযোগে বন্ধু নিলয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর নিলয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।