নেত্রকোণায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধের দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রায় ১৮ হাজার ঘাটতি রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ।
নেত্রকোণায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধের টিকাদান কর্মসূচির শুরু করা হয়। জেলা সদরসহ জেলার দশ উপজেলাতেও চলে টিকাদানের কার্যক্রম। জেলায় মজুদ কমে আসায় এবং সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় গত ২৬ এপ্রিল থেকে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
জেলা সিভিল সার্জন মো. সেলিম মিঞা বলেন, দ্বিতীয় ডোজের টিকা সবাই পাবেন। জেলায় মোট ৫৮ হাজার ১৮৮ জনকে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে মঙ্গলবার নাগাদ ২৮ হাজার ৮৮৩ জন দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন।
জেলায় এখনও দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার বাকি রয়েছেন ২৯ হাজার ৩০৫ জন। তার বিপরীতে জেলায় এখন মজুদ আছে ১১ হাজার ৩৫০টি। এই হিসেবে আরও ১৭ হাজার ৯৫৫টি দ্বিতীয় ডোজ টিকার ঘাটতি রয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, আশা করছি কোনো না কোনো সোর্স থেকে টিকা পেয়ে যাব। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারবো।
এদিকে, ২৫ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদফতর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, যে টিকা মজুদ আছে তা দিয়ে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের টিকা কার্যক্রম চালানো যাবে। এর মধ্যে নতুন চালান না এলে টিকাদান কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে।