ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ ‘অবশ্যম্ভাবী’। বুধবার দেশটির সরকারের শীর্ষ বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
সরকারের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ড. কে বিজয়রাঘবান বলেছেন, ‘যে উচ্চমাত্রায় এই ভাইরাস বিস্তার ঘটাচ্ছে তাতে তৃতীয় পর্যায় অবশ্যম্ভাবী। তবে এই তৃতীয় পর্যায়টি কখন ঘটবে এটা স্পষ্ট নয়।’
তিনি জানিয়েছেন, দ্রুত সংক্রমণ ঘটানো নতুন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় টিকার আপডেট প্রয়োজন।
ব্যাপক মাত্রার সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী লকডাউন একমাত্র সমাধান কিনা জানতে চাইলে জাতীয় টিকা বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান ভিকে পল বলেন, ‘অতিরিক্ত কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে সেই বিষয়গুলো আলোচনা হয়। সংক্রমণ চক্র ঠেকাতে ইতোমধ্যে রাজ্যগুলোকে বিধিনিষেধ আরোপের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
করোনার দ্বিতীয় দফা ঢেউয়ে ভারতে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুতে নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৮২ হাজার ৩১৫ জন। মোট আক্রান্ত ইতোমধ্যে ২ কোটি ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পর কেবল ভারতেই মোট আক্রান্ত ২ কোটির বেশি। সংক্রমণের মতো গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৩ হাজার ৭৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে কোভিড রোগীর মৃত্যু নিরিখে এই সংখ্যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
ব্যাপক সংক্রমণের কারণে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বাড়ায় শনাক্তকরণ পরীক্ষার হার কমতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এ কারণে সরকারি হিসাবের তুলনায় বাস্তব আক্রান্তের সংখ্যা ১০ গুণ বেশি হতে পারে।