মিসরের নিষিদ্ধঘোষিত ইখওয়ানুল মুসলিমিন(মুসলিম ব্রাদারহুড) সম্মিলিত বিরোধীদল গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। সামরিক শাসক জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসিরি হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য দলটি এ ডাক দিয়েছে।
২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারির বিপ্লববার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইখওয়ান বলেছে, সামরিক শাসকের হাত থেকে মিসর ও কারাবন্দীদের মুক্ত করার জন্য এমন ঐক্যবদ্ধ বিরোধীদল গঠন করা দরকার। বিদেশে অবস্থানকারী বিচারকদের সংগঠনটির নেতৃত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলটি। বিদেশে এ ধরনের ঐক্যবদ্ধ সংগঠন গড়ে তোলা সম্ভব হলে তা দেশের বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের কাজ করতে সহায়তা করবে। মিসর বিপ্লবের স্বার্থ ও বিরোধীদের রক্ষার জন্য সব ধরনের সহিংসতা এড়িয়ে চলার কথাও বলা হয়েছে ইখওয়ানের বিবৃতিতে।
জেনারেল আব্দুল ফাত্তাহ আল-সিসি ২০১৩ সালে ক্ষমতা দখলের পর ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে ইখওয়ানুল মুসলিমিনকে নিষিদ্ধ করেন এবং দলের নেতাকর্মীদের সম্পদ জব্দ করা হয়। এ ছাড়া, বহু নেতাকর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সিসি সরকার। মিসরে পুলিশের বিনা অনুমতিতে কেউ কোনো সভা-সমাবেশ করতে পারবে না বলে সিসি সরকার আইন পাস করে রেখেছে। জেনারেল সিসি ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৬০ হাজার বিরোধী নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে তবে তিনি এ তথ্য অস্বীকার করে আসছেন।
মানবাধিকার পরিস্থিতি
এ দিকে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ মিসর সফরে গিয়ে দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের আমলের চেয়ে জেনারেল আল-সিসির আমলে মিসরে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তিন দিনের সফরে মিসরে গিয়ে ম্যাক্রোঁ সাংবাদিকদের বলেন, আমার মনে হয় মুবারকের আমলের চেয়ে বর্তমানে কঠোর পরিস্থিতির মুখে রয়েছে মিশরের বুদ্ধিজীবী ও সিভিল সোসাইটির লোকজন।’
তিনি বলেন, মিসর ছিল আরব বসন্তের কেন্দ্রবিন্দু কিন্তু সেখানে চলছে কঠোর শাসন। মিসরে দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। ম্যাক্রোঁ বলেন, মিসরে যা চলছে তা সাংঘর্ষিক ও নিজেদের জন্যই ক্ষতিকর।