কুকুরের মাথা, নাড়িভুড়ি ও চামড়াসহ সুরুজ নামে এক কসাই যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানায়।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কোন্ডা ইউনিয়নের হাসনাবাদ হাউজিং থেকে তাকে হাতেনাতে আটক করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ জনতার হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আটক যুবক হাসনাবাদ হাউজিং কমিউনিটি সেন্টার রোডের হাজি জাহিদের বাড়িতে ভাড়া থাকত। সুরুজ একটি মাংসের দোকানে চাকরি করতেন। গত ১০/১৫ দিন যাবৎ তার চাকরি ছিল না বলে জানান জাকির মাংস দোকানের মালিক। । সে তিন মাস ধরে এ এলাকায় বসবাস করছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক প্রতিবেশী জানান, তার রুমে লাল রঙের একটি কুকুরের বাচ্চা দেখে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে এটা লালন-পালনের জন্য এনেছে বলে জানায়। পরে আমার স্ত্রী তার রুমের রক্ত মুছতে দেখে তাকে জিজ্ঞাসা করে এটা কিসের রক্ত? আমার স্ত্রীর সন্দেহ হলে সে আমাকে বলে কসাই কিসের যেন রক্ত মুছতেছে।
পরে আমি আরো কয়েকজনকে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করি কুকুরের বাচ্চাটা কোথায়, সে বলে ছেড়ে দিয়েছি। পরে বহু জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সে স্বীকার করে কুকুরের বাচ্চা জবাই করে এক মহিলার কাছে বিক্রি করেছে সে। পরে পাশের এক ডাস্টবিন থেকে কুকুরের মাথা, নাড়িভুড়ি ও চামড়া উদ্ধার করে উত্তম-মধ্যম শেষে তাকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপর প্রতিবেশী জানান, আগে আমাদের আশেপাশে বহু কুকুরের বাচ্চা ছিল। কিন্তু এখন দুই একটি ছাড়া কোনো বাচ্চা দেখা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে সে এগুলো জবাই করে বিক্রি করেছে। সে মাদকাসক্ত বলেও জানায়, স্থানীয়রা ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সঞ্জয় মালু কসাই সুরুজকে আটকের খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, আমরা সুরুজ নামে এক মাদকাসক্তকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছি একটি কুকুরের বাচ্চা তার হাতে কামড় দিয়েছে,পরে রাগে সে কুকুরের বাচ্চাটিকে জবাই করে পাশের ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে। তবে এনিয়ে তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। আর কেউ যদি এ নিয়ে কোনো অভিযোগ করে আমরা মামলা নিতে প্রস্তুত আছি।