ঢাকার সাভার থেকে ময়মনসিংহের গৌরিপুরের ভাংনামারীর চর এলাকার জাহিদুল ইসলামের সাত বছরের ছেলে মো. এসতেফাককে অপহরণের চার দিন পর মানিকগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনায় অপহরণকারী চক্রের সদস্য তিন জন রিকসা চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে সাভারের কর্ণপাড়া এলাকায় তার নানা হাসেম উদ্দিনের ভাড়া বাসায় থাকতো।
মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানা নবগ্রাম ইউনিয়নের বাড়াঙ্গাইল গ্রাম থেকে অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার ও তিন অপহরণকারী গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত শুক্রবার সাভারের কর্ণপাড়া এলাকায় বাড়ির পাশে একটি খেলার মাঠ থেকে ওই শিশুটিকে কৌশলে অপহরণ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- মানিকগঞ্জ জেলা সদর থানার বারইলা গ্রামের হরুণের ছেলে হাবু মিয়া (৪০), একই থানার পাচবাড়ি গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে বাদশা মিয়া (৩৪) ও মানিকগঞ্জ হরিরামপুর থানার গুপালপুর গ্রামের চান বেপারির ছেলে করিম বেপারী (৩৬)।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হামিদুর রহমান জানান, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কর্ণপাড়া এলাকায় বাড়ির পাশে খেলার মাঠে খেলতে যায় শিশু এসতেফাক। এসময় অপহরণকারীদের একজন শিশুটিকে পাখি কিনে দেয়ার কথা বলে আড়ালে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে। অনেক খোঁজ করেও শিশুটির সন্ধান না পেয়ে সাভার মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার স্বজনরা।
এরপর মঙ্গলবার শিশুটির নানার মুঠোফোনে কল করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। পরে অপহরণকারীদের ধরতে বিকাশের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা পাঠায় পুলিশ। এর স‚ত্র ধরেই প্রযুক্তির সহায়তায় মানিকগঞ্জে অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত করে পুলিশ। পরে র্যাব-৪ এর সহযোীতায় মঙ্গলবার গভীর রাতে সদর থানার বাড়াঙ্গাইল গ্রামে অভিযান চালিয়ে অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এসময় অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সংঘবদব্ধ অপহরণকারী চক্র। তারা রিকসা চালানোর আড়ালে শিশু অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় করে থাকে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপহরণের কথা স্বীকার করেছে।
বুধবার সকালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিশুর নানা হাসেম উদ্দিন।