কেজি দরে তরমুজের চড়া দাম যেন সবুজ পানীয় তরমুজেও আগুন লেগেছে। বৈশাখের খরতাপের কাছে ভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে ঠিক তখনি নতুন স্টাইলে তরমুজ বিক্রির প্রতারণার এক মহা ফাঁদ তৈরি করছে অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা।
পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই তরমুজ এখন বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এই সুযোগে বিক্রেতাদের মুনাফা চরমে।
নগরীর বিভিন্ন বাজারে এবার তরমুজের দাম বেশি হওয়ায় তা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এই গরমে মন চাইলেও অনেকে তরমুজ ছুঁয়ে দেখতে পারছেন না। সাধারণ ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, চাহিদা থাকায় সিণ্ডিকেট করে তরমুজের দাম বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বাজারে নামেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাহাদাত হোসেন ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাঈদুল ইসলাম।
এসময় অতিরিক্ত দামে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি দায়ে ৯টি মামলা রুজুর পাশাপাশি ৮ হাজার ১ শত টাকা জরিমানা করা হয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
তবে অভিযান পরিচালনার কিছুক্ষণ পরেই আগের অবস্থাতেই ফিরে আসে তরমুজ ব্যবসায়ীরা। বরংচ, কেজিতে আরও ৩০টাকা করে বাড়িয়ে তরমুজ বিক্রয় করছে।
অভিযানের পর তরমুজ আরও বেশি দামে বিক্রি করায় উকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন নগরীর বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। সময় টিভি’র ব্যুরো প্রধান হারুণ অর রশিদ উদ্বেগ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন ‘অভিযানের পর নতুন বাজারে তরমুজের দাম আরো বেড়েছে’।
নগরীর চড়পাড়ার এক তরমুজ ব্যবসায়ী ময়মনসিংহ লাইভকে বলেন, আমরা কেজি দরেই তরমুজ বিক্রি করব। আরেক ব্যবসায়ী বলেন, জরিমানার টাকা তুলতে প্রয়োজনে দ্বিগুণ করে তরমুজের কেজি প্রতি দাম ধরা হবে। আর পাবলিক তরমুজ না খাইলে প্রয়োজনে পঁচিয়ে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেন।
মঙ্গলবার চড়পাড়া ময়মনিসিংহ লাইভ এর তরমুজের বাজার নিয়ে লাইভ চলাকালে এক ব্যভসায়ী বলেন, মানুষের কাছে একটা তরমুজের দাম ৫০০টাকা চাইলে কেউ নিবে না, তাই ট্যাকনিক্যালি কেজি দরে ব্রিক্রি করে বোকা বানানো হয়। আর না হয় তারা তরমুজ বিক্রি করতে পারবেনা বলেও জানান।
এদিকে চলতি সপ্তাহে খুচরা বাজারে এক কেজি তরমুজের দাম চলছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। বেশি ভালো মানেরগুলো ৮০ থেকে ৯০ টাকাতে বিক্রি হচ্ছে। এতে ৫ কেজির একটি তরমুজের জন্য ক্রেতার গুণতে হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা!
অথচ এই তরমুজের দাম ১৫০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। প্রতি তরমুজ কমপক্ষে ৫গুণ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে।