রংপুরের মিঠাপুকুরে নিখোঁজের তিনদিন পর স্কুলছাত্রী মোসলেমা খাতুন লাশ উদ্ধারের ঘটনার জট খুলেছে পুলিশ। গর্ভের সন্তান নষ্ট না করায় প্রেমিক নাহিদ হাসান তাকে হত্যার করে। গ্রেফতারের পর রবিবার বিকেলে নাহিদ আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে মিঠাপুকুর উপজেলার মোসলেমা খাতুন বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরে পরিবারের লোকজন মোসলেমাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মিঠাপুকুর থানা পুলিশকে জানান। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোসলেমার অর্ধগলিত লাশ বাড়ির পাশে একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মোসলেমার বাবা বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে, রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশসহ পিবিআই ও সিআইডি। লাশ উদ্ধারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে নাহিদ হাসান নামে এক যুবককে আটক করা হয়। নাহিদ মিঠাপুকুর উপজেলার দলসিংহপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাহিদ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
পরে আদালতে পাঠানো হলে সেখানে নাহিদ স্বীকারোক্তিতে বলেন, ১৫ দিন আগে মোসলেমা নাহিদকে জানায় যে, সে গর্ভবতী। কিন্তু নাহিদ তা অস্বীকার করে। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাহিদকে ফোন দিয়ে দেখা করতে বলেন মোসলেমা। পরে বাড়ির পাশের একটি ভুট্টা ক্ষেতে গিয়ে তারা দেখা করেন। এ সময় মোসলেমা তার গর্ভের বাচ্চা রাখতে চেয়ে বিয়ের দাবি করেন। কিন্তু নাহিদ এতে রাজি হননি। তিনি যেকোনো ভাবে সন্তান নষ্ট করতে বলেন। মোসলেমা এতে রাজি না হওয়ায় এক পর্যায়ে নাহিদ রেগে গিয়ে ভুট্টা ক্ষেতেই তাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন।
মিঠাপুকুর থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত নাহিদ আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে হত্যা রহস্য উদঘাটন হয়েছে।