জাতিসঙ্ঘ ঘোষিত ‘আন্তর্জাতিক আদিবাসী ভাষা বর্ষ’ উদযাপনের জন্য বছরব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘আন্তর্জাতিক আদিবাসী ভাষা বর্ষ উদযাপন কমিটি’ সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি তুলে ধরে।
উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা লিখিত বক্তব্য পাঠ করে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এতে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভাষা সুরক্ষা ও বিকাশে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আন্তর্জাতিক আদিবাসী ভাষা বর্ষ ২০১৯’ উদযাপনের জন্য চার ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন সভা-সেমিনার আয়োজন, সক্ষমতা উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রচারমূলক কার্যক্রম ও গণমাধ্যমে এসব বিষয় তুলে ধরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বছরব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে মাতৃভাষা নিয়ে একাধিক সেমিনার ও আলোচনা সভার আয়োজন হবে। বিভিন্ন জাতিসত্তার শিক্ষকদের একটি বা একাধিক শিক্ষক সমাবেশের আয়োজন করা হবে। নিজ নিজ মাতৃভাষায় যারা লেখালেখি চর্চা করেন, তাদের জন্য আয়োজন করা হবে লেখক সমাবেশের।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যমান ভাষাগুলোকে সংরক্ষণ করার জন্য আঞ্চলিক মতবিনিময় বা ভাষা ডকুমেন্টশন কর্মশালার আয়োজন করা হবে। বিভিন্ন জাতিসত্তার অবস্থান অনুসারে আপাতত পুরো দেশটিকে আটটি ভাগে ভাগ করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে বছরব্যাপী চলবে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এছাড়া নির্ধারিত অঞ্চলগুলোতে বিভিন্ন জাতিসত্তার যুবসমাজের অংশগ্রহণে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে ভাষা ডকুমেন্টেশন করার পদ্ধতি বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন করার কর্মসূচি রয়েছে এতে। রয়েছে নির্ধারিত অঞ্চলগুলোতে বিভিন্ন জাতিসত্তার বয়স্ক নারীদের অংশগ্রহণে ‘প্রজন্ম সংলাপ’-এর আয়োজন। এই সংলাপে যুব নারী ও বয়স্ক নারীদের মধ্যে ভাষার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করা হবে। বাংলাদেশে বিদ্যমান বিভিন্ন ভাষার হরফ হস্তাক্ষরে ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে লিখে তা প্রদর্শনীর ব্যবস্থাও থাকছে কর্মসূচিতে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাঁধন আরেং, সন্ধ্যা মালো, গণেশ সরেন, অমল বিকাশ ত্রিপুরা প্রমুখ।