বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শিল্পাঞ্চল গাজীপুর জেলা এবং বৃহত্তম ময়মনসিংহ জেলার জনসাধারণের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নে জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ২০১১ সালে চারলেনে উন্নীত করেছে সরকার।
সরকারের এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কে সংস্কার কাজ চলছে। গাজীপুর চৌরাস্তার পর সালনা থেকে আবার কার্পেটিং করার কাজটি ভালো উদ্যোগ, কিন্তু রাস্তায় কাজ করার জন্য যতটুকু নিরাপদ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত তা নেয়া হয়নি।
রাস্তা কার্পেটিং এর জন্য ভিটোমিন মেশানো পাথর দিয়ে যেভাবে আস্তরণ দেওয়া হচ্ছে তাতে করে দ্রুতগতির যানবাহনগুলির চাকার ঘর্ষনে এই পাথরগুলো ছুটে ছুটে গিয়ে পুরো রাস্তায় পড়ে থাকছে। ফলে যে কোন যানবাহন ব্রেক কষলেই ব্রেক জমার জন্য সময় বেশি নিচ্ছে। ফলে যানবাহন গুলি চালকের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে মোটরসাইকেল ইমারজেন্সি ব্রেক কষলে বড় বিপদের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।
নতুন কার্পেটিং করা এক পাশে কোন নিরাপত্তা বেষ্টনীর না থাকার কারণে যানবাহন গুলি এর উপর দিয়েই চলছে ফলে পাথরগুলি ছুটে গিয়ে পুরো রাস্তায় পড়েছে। এই পাথরগুলো রান্তার পাশ থেকে সরিয়ে নিতে হবে। নইলে মোটরসাইকেলের মত অন্য যানবাহন বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া পথচারীরাও নিরাপদে পথ চলতে পারবে না। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপর পড়ে থাকা সব পাথর যত দ্রুত সম্ভব অপসারণের ব্যবস্থা করে নিরাপদ সড়ক গড়ার আহ্বান জানান এলাকার সচেতন মহল। সড়ক ও জনপথ শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী জানান।
উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো.জামিল হাসান লিমন জানান, বিটুমিন মেশানো পাথরগুলো রোলারের চাপায় কিছু ছুটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ছুটে যাওয়া পাথরগুলো সাথে সাথে পরিষ্কার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। তারপরও যদি কোনও ত্রুটি থাকে তদস্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।