কুকুরের আক্রমণে মারা গেলো ‘বিশ্বের সবচেয়ে একা’ হাঁসটি

কুকুরের আক্রমণে মারা গেলো বিশ্বের একাকীতম হিসেবে গণ্য করা হাঁসটি। সুদূর প্যাসিপিক আইসল্যান্ডে ছিল তার বাস।

ট্রেভোর নামে এ হাঁসটি ছোট্ট দ্বীপ নিউই-তে সেলিব্রেটি হয়ে হয়ে উঠেছিল। কারণ সেটি ছিল সে দ্বীপটিতে তার জাতীয় একমাত্র পাখি।

২০১৮ সালে সেখানে তাকে প্রথম দেখা যায়। কিন্তু কোথা থেকে সে এসেছে সে ব্যাপারে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

সেখানে তার এ ছোট্ট জীবন কেটেছে রাস্তার পাশে একটি খাদে। স্থানীয়রা সেখানে খাইয়ে-দাইয়ে বেশ যত্ন-আত্মীতেই রেখেছিলেন।

‘গত বছরের জানুয়ারিতে একটি বড় ঝড়ের পর নিউইতে আসে এটি। আমরা মনে করেছিলাম সেটি উড়ে বা বাতাসের কারণে এখানে এসেছে’, বলছিলেন নিউই চেম্বার অব কমার্সের প্রধান রাই ফিনডলে। তার উদ্যোগেই ট্রেভোরকে নিয়ে খোলা হয়েছে একটি ফেসবুক পেজ।

‘ধারণা করা হচ্ছে এটি পার্শ্ববর্তী নিউজিল্যান্ড থেকে এসেছে কিন্তু এটাও সম্ভব যে এটি টোঙ্গা বা অন্য কোনো প্যাসিফিক দ্বীপ থেকে এসেছে।’

‘এটা ছিল একটি বন্য হাঁস। তাই তাকে আমরা নিউজিল্যান্ডের রাজনীতিক ট্রেভোর ম্যালার্ডের নামে ডাকতাম’, বলছিলেন তিনি।

নিউই’র স্বল্প সময়ের জীবনে ট্রেভোর একটি সুখী জীবনেই ছিল।

‘এখানে কোনো নদী, ঝর্ণা বা হ্রদ নেই। তাই ট্রেভোর একটি খাদে বসবাস করছিল’, বিবিসিকে বলছিলেন মিস ফিনডলে।

এবং এ কারণে তাকে বিশ্বের সবচেয়ে একা হাঁস হিসেবে দেখা হতো। এখানে তার একাকীত্ব ছাড়া সবই ছিল।

ট্রেভোর যে খাদটিতে থাকতো সেটি স্থানীয়রা নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতো এমনকি যখন এর পানি কমে যেতো তখন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এটি পানিতে ভরে দিতো।

মিস ফিনডলে বলছিলেন, এটি নিয়মিতই স্থানীয়দের বাড়িতে আসতো এবং তাদের দেয়া খাবার খেতো। সে মটর, ভুট্টা ও ওট খেতো।

এটি অবশ্য এক সময় সে এলাকার একটি মোরগ, একটি মুরগির বাচ্চা ও ভেকা নামে অন্য একটি পাখির সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছিল।

‘ওটের ব্যাগ নিয়ে এসে তাকে খাওয়ানোর কাজটি বন্ধ হয়ে গেল। সে অনেকের মনে স্থান করে নিয়েছিল এবং তাকে সবাই অনুভব করবে’, বলছিলেন ফিনডলে।

সূত্র : বিবিসি

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top