বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরি তার। সবকটি দেশের মাটিতে। বিদেশের মাটিতে টেস্ট শতক না পাওয়ায় নানা কথা শুনতে হতো। নিজেও সন্তুষ্ট ছিলেন না। কোথাও যেন একটা কিছুর অভাব। দেশে ও দেশের বাইরে পারফরম্যান্সের পার্থক্য আকাশ-পাতাল। ঘরের মাঠে ব্যাটিং গড় ৫৬.৩৯। বিদেশে মাত্র ২২.৩০।
অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। যে শ্রীলঙ্কায় টেস্ট ক্যাপ পরেছিলেন, সেখানেই মুমিনুল হক পেলেন প্রথম অ্যাওয়ে সেঞ্চুরি। পাল্লেকেলেতে বৃহস্পতিবার ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি পেলেন মুমিনুল, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যা তৃতীয়। ৬৪ রানে অপরাজিত থেকে প্রথম দিন শেষ করেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। সতর্ক ব্যাটিংয়ে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছে যান এ ব্যাটসম্যান।
হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ১১৭ বলে। সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে আরও ধৈর্য, ক্ষুধা ও প্রচেষ্টা ছিল। খেলেছেন আরও ১০৭ বল। ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বল কাট করে পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে ৯৭ থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান এ ব্যাটসম্যান।
মুমিনুলের টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরুটা রূপকথার চেয়ে কম ছিল না। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান প্রথম ১২ টেস্টে সাতটি অর্ধশতক ও চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে ব্যাটসম্যান হিসেবে তার ভূমিকা বেশ কিছুটা বদলে গেছে। মুমিনুলকে এখন কেবল টেস্ট বিশেষজ্ঞ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
মুমিনুলও সাদা পোশাকে সেই প্রত্যাশা পূরণ করেছিলেন। এই বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন।
কিন্তু তার নামের পাশে প্রশ্নবোধক চিহ্ন আঁকা ছিল বিদেশে সেঞ্চুরি না পাওয়ায়। সেই অপেক্ষা এবার ফুরালো। এবার শুধু এগিয়ে যাওয়ার পালা।