বিপিএলে ক্রমশই একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে উঠছে তারা। ঢাকা ডায়নামাইটস, রংপুর রাইডার্স। বিশেষ করে গত মওসুম থেকে এদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা সবার দৃষ্টি কেড়েছে। ওই বার ফাইনালে ঢাকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রাইডার্স। এবারো দলটির প্রত্যাশায় শিরোপা। ঢাকা অপেক্ষা প্রতিশোধের। সেটা এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে ওই লক্ষ্যে যেতে চায়। কিন্তু বাস্তবতা কি এতই সহজ? এ ছাড়াও আছে চিটাগাং ভাইকিংস, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া। তবু এ আসরেও ফ্রন্টফুটে ঢাকা ও রংপুরের নামই। ইতোমধ্যে এ দুই দল একবার মুখোমুখিও হয়েছে। তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ সে ম্যাচে ঢাকা হারিয়ে দেয় রংপুরকে ২ রানে। আজ সেই দুই দল মুখোমুখি, জহুর আহমেদে। কে জিতবে। কার কৌশল কী। কে তার কোন খেলোয়াড়কে কোথায় খেলাবেন। কার দুর্বলতা কোথায় এগুলো নিয়ে দু’দলের কোচিং স্টাফও বসে নেই। ছক আঁকছেন তারা।
প্রথম ম্যাচের চেয়েও এ ম্যাচের গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ পয়েন্ট টেবিলে দু’দলের অবস্থানই কিছুটা দুর্বল। এতে করে আজ দুই দল। প্রেস্টিজ ইস্যু তো আছেই। এক দিকে সাকিব আল হাসান। অন্য দিকে মাশরাফি বিন মর্তুজা। দুই দলেই রয়েছেন বেশ ক’জন বিদেশী খেলোয়াড়। ঢাকাতে আন্দ্রে রাসেল, হজরুতুল্লাহ জাজাই, সুনিল নারিন, রসুলি প্রমুখ। অন্য দিকে রাইডার্সে আছেন ক্রিস গেইল, রুশো, হেলস, ডিভিলিয়ার্সের মতো ক্রিকেটার। তবে এদের মধ্যে রাইডার্সই এগিয়ে। কারণ শেষ ম্যাচেও চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে করেছিলেন ২৩৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর। যাতে সেঞ্চুরি করেছিলেন দু’জন। রুশো ও হেলস। চমৎকার ওই ম্যাচে মাশরাফিদের আত্মবিশ্বাস আরো বেড়েছে। কারণ ব্যাট হাতে তারা এখন যেকোনো দলের বিপক্ষে দুই শতাধিক রান করার যোগ্যতা রাখে। ফলে এদের নিয়ে মাশরাফি এখন রীতিমতো উড়ছেন। কারণ দলটি যে পারফরম্যান্স করছে সেটা এ মুহূর্তে প্রয়োজন ছিল। আগের ম্যাচে বিশাল স্কোরের মধ্যে গেইলের নেই ভূমিকা। অথচ তার পক্ষেও সম্ভব দানবীয় ইনিংস খেলার। ডিভিলিয়ার্সও আরেক সুপারম্যান। সব মিলিয়ে শিরোপার জন্য রাইডার্স এবারো যেন এক ধাপ এগিয়ে।
ডায়নামাইটসের দিনকাল খুব একটা ভালোই যাচ্ছে না। সাদামাটা পারফরম্যান্সের মধ্যেই তারা। দলের বিদেশী খেলোয়াড়দের পক্ষে সম্ভব ভালো কিছু করার। কিন্তু সুবিধা করতে পারছে না তারা। তবে সাকিব তাদের পারফরম্যান্সের দিকে তাকিয়ে। ক’ম্যাচে দেখা গেছে সাকিব ভালো করলে দলের সফলতা এসেছে। কিন্তু একা কয়দিকে সামলাবেন?
এ দুইয়ের প্রথম দেখায় ঢাকা যে খুব ভালো ব্যাটিং করেছিল তা নয়। ১৮৩ রান করলেও তার পেছনে বড় অবদান পোলার্ডের। ২৬ বলে করেছিলেন তিনি ৬২ রান। এ ছাড়া সাকিবের ৩৬ ছিল উল্লেখযোগ্য। এরপর রাইডার্সও জয়ের মতো করে খেললেও শেষ পর্যন্ত তীরে এসে তরী ডোবে তাদের। একা রুশো খেলেছিলেন চমৎকার ইনিংস। ৪৪ বলে করেছিলেন তিনি ৮৩ রানের ইনিংস। এ ছাড়া মিথুনের ৪৯ ছিল উল্লেখযোগ্য। ১৮১ এ শেষ হয় রাইডার্স। আফসোসেই শেষ তাদের ওই ম্যাচ।
আজ মাশরাফিরা বেশি উজ্জীবিত। রাইডার্স গেইলের কাছেও ভালো কিছু প্রত্যাশা করছে। ঢাকার বিপক্ষে সে ম্যাচে গেইল করেছিলেন ৮ রান। হেলস ও ডিভিলিয়ার্স খেলেননি। বোপারা ছিলেন। তিনিও সুবিধা করতে পারেনি। সন্ধ্যায় লড়বে দুই দল। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে এখন চিটাগাং ১২ পয়েন্ট নিয়ে। ঢাকা ও রংপুরের সমান ১০ করে। রংপুর অবশ্য ৯ ম্যাচে ওই পয়েন্ট পেয়েছে। ঢাকা এক ম্যাচ কম খেলে ১০ পয়েন্ট।
আজ দিনের প্রথম ম্যাচে লড়বে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া ও খুলনা টাইটানস। দুপুর দেড়টায় ম্যাচটি শুরু হবে।