চট্টগ্রামে যেমন হেসেছে ব্যাটসম্যানদের উইলো তেমনি বোলারদের গোলাও কখনো ছুটেছে ঘূর্ণিতে কখনো উল্কার বেগে। ২২ গজে ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং তাণ্ডবে যেমন পুড়ছেন বোলাররা, তেমনি বোলারদের বোলিংয়ে হতাশও হয়েছেন উইলোবাজরা। তবে টি-২০তে আসল যে মজা সেটি আদ্যোপান্ত উপলব্ধি করেছেন চট্টগ্রামের দর্শকেরা। এমন উইকেটে ব্যাটসম্যানদের আরো হতাশ করতে বুদ্ধি খাটিয়ে বোলিং করতে বললেন পেসার রুবেল হোসেন।
চট্টগ্রামের উইকেটে রান হবে তা আগের থেকেই ধারণা ছিল ব্যাটসম্যানদের। এমন উইকেটে খেলা বলে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করা যায়। আবার বোলারদের জন্য এখানে রান আটকানো দুরূহ। বোলিংয়ে বৈচিত্র্য না থাকলে টিকে থাকা কঠিন। বুদ্ধি খাটিয়ে বোলিং করলে বোলারদের জন্য এখানে থাকে অনেক কিছু, এমনটাই মনে করেন রুবেল হোসেন।
‘চট্টগ্রামের উইকেট খুবই সুন্দর। ব্যাটসম্যানদের জন্য খুব সহায়ক একটা উইকেট। খুব সুন্দর উইকেট, অনেক রান হচ্ছে। এই ধরনের উইকেটে আমরা যারাই বল করব না কেন খুব বুদ্ধি খাটিয়ে বল করতে হবে। বুদ্ধি খাটিয়ে বল করলে বোলারদের জন্যও অনেক কিছু আছে এখানে।’
চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত বিপিএলের চারটি ম্যাচ হয়েছে। প্রথম দিনই ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন রাইলি রুশো ও অ্যালেক্স হেলস। তাদের তাণ্ডবে ২৩৯ রান করেছিল রংপুর রাইডার্স। গতকাল রাজশাহী কিংস চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে তোলে ১৯৮ রান। জবাবে চিটাগংও করেছিলে ১৯১ রান। দিনের খেলায় সিলেট সিক্সার্স করে ১৯৫ রান। সব মিলিয়ে চট্টগ্রামের ২২ গজে রানের ফোয়ারা।
আজ এ মাঠেই মাঠে নামবেন ঢাকা ডায়নামাইটসের পেসার রুবেল। আট ম্যাচে ১০ উইকেট নেয়া রুবেল অবশ্য কোনো চাপ অনুভব করছেন না। ‘আমি কোনো চ্যালেঞ্জ ফিল করছি না। প্রত্যেকটা ম্যাচে ভালো বল করতে চাই। মাঝে মধ্যে ভালো বলেও উইকেট পাই, মাঝে মধ্যে খারাপ বলেও উইকেট পাই। উইকেট পেতে কিছু কিছু সময় ভাগ্য সহায়ক হতে হয়। এখানে বোলিং চ্যালেঞ্জ না, লক্ষ্য ভালো করতে চাই।’
এ ধরনের উইকেটে বোলারদের বল করার ধরন নিয়েও কথা বলেন রুবেল, ‘এটা যেহেতু ব্যাটসম্যানদের সহায়ক উইকেট, আমার কাছে মনে হয় ব্যাটসম্যানকে রিড করে বল করা উচিত। উইকেট কী চাচ্ছে? কেমন ব্যবহার করছে। পাশাপাশি বোলার কী চাচ্ছে, দলের পরিকল্পনা কী, আমার মনে হয় এসবের বাস্তবায়ন ভালোমতো করতে পারলে সফলতা পাওয়া যাবে।’