বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর বন্দর এলাকায় সাবেক বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক লাগোয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) প্রায় ৫ শতাংশ জমি অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন স্থানীয় দুই ব্যক্তি।
তাদের মধ্যে সুমন মৃধা নামে একজন নিজেকে ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ নেতা দাবী করেছেন। আর সওজ’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সরেজমিনে এসে বিষয়টি দেখলেও রহস্যজনক কারনে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে সাবেক বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুরের শিকারপুর বন্দরের উত্তরে মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) প্রায় ৫ শতাংশ জমিতে স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতা সুমন মৃধা ও মো: আইয়ুব আলীসহ তাদের সহযোগীরা। সওজের প্রায় অর্ধকোটি টাকা মূল্যের ওই জমিতে গত কয়েকদিন ধরে ৮/১০জন শ্রমিক নিয়ে তারা দুইটি স্থাপনা নির্মাণ করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের পাশে সওজের ওই জমিতে নির্মাণাধীন একটি স্থাপনার দেয়ালে পানি দিচ্ছেন সুমন মৃধা এবং তার নিয়োজিত শ্রমিকরা ছাদ ঢালাইয়ের জন্য ঢালাই মেশিন প্রস্তুত করছেন। অপর স্থাপনাটির মেঝেতে কয়েকজন শ্রমিক ঢালাইর কাজ করছেন। আর সেখানে উপস্থিত থেকে কাজের তদারকি করছেন দখলদার আইয়ুব আলী। এ সময় এই প্রতিবেদক আইয়ুব আলীর কাছে সওজের জমিতে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা সওজের জমি সত্য; কিন্তু আমি এই জমির পজিশন স্ট্যাম্পের মাধ্যমে শিকারপুর এলাকার নাসির কাজীর নিকট থেকে ক্রয় করেছি’।
এদিকে প্রকাশ্যে সওজের জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি স্থানীয়রা শনিবার রাতে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফাকে মুঠোফোনে জানালে রোববার সকালে কয়েকজন কর্মকর্তারা সরেজমিনে দেখতে এলে সাময়িক কাজ বন্ধ রাখে দখলদাররা। পরবর্তীতে আবার কাজ শুরু করলে স্থানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এ সকল বিষয়ে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফার নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি শুনে সেখানে লোক পাঠিয়েছি। তদন্ত করে সরকারি জমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।