রমজান মাসে সারা দিন রোজা থাকার পরে শরীরে যে দুর্বলতা আসে তা উপশমে দই হতে পারে সবচেয়ে ভালো খাবার।
ইফতারিতে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে দই খেলে পেটে তৈরি হওয়া এসিডিটি সমস্যা দূর হতে পারে। এছাড়াও দই হতে পারে আমাদের শরীরে পুষ্টি ঘাটতি পূরণে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট খাবার।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ সামিনা জামান কাজরী।
ইফতারে দইয়ের উপকারিতা:
১.দই খেলে পেট ঠাণ্ডা থাকে।
২. সারদিন রোজা থাকায় পেটে এসিডিটি তৈরি হয়। ইফতারে একসঙ্গে অনেকগুলো খাবার খেয়ে ফেলায় অস্বস্তি শুরু হয়। এসময় দই খাওয়া খুবই কার্যকর।
৩. দই খাদ্য ডাইজেশন বা হজম প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করে।
৪. দই একটি পুষ্টিতে ভরপুর খাবার ।
৫. প্রথম উপাদান হচ্ছে ফাইবার, যা শরীরের ডাইজেশন বা হজম প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করে।
৬. দইয়ে থাকে প্রবাইটিস যা উপকারি ব্যকটেরিয়া নামে পরিচিত। এই ব্যকটেরিয়া শরীরে ডাইজেশন বা পারিপাক প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করে।
৭. দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যলসিয়াম এবং ফসফরাস আছে।
৮. যারা দুধ খেতে পারেন না তাদের জন্য খুবই ভালো বিকল্প হতে পারে দুই।
৯. শরীরে ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
যেভাবে খাবেন:
১. দই সরাসরি খেতে না চাইলে ফলের সালাদ তৈরি করে দই মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
২. দই দিয়ে লাচ্চি তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে। যা একই সঙ্গে পানীয় এবং দইয়ের গুণাগুণ দুই ভাবেই কাজ করবে।
৩. সরাসরি মিষ্টি দই খেতে না পারলে কাঁচা টমেটো বা শসার সালাদের সঙ্গে টক দই মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
৪. সেহরির সময় অল্প দই বা লাচ্চি খেলে সারা দিনের হজম প্রক্রিয়ায় ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।
সূত্র: ডক্টর টিভি