ময়মনসিংহ বিভাগের ৪ জেলার মানুষের করোনা চিকিৎসায় ভরসা বিভাগীয় শহরের দু’টি সরকারি হাসপাতাল। একটি ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল অন্যটি সূর্যকান্ত (এসকে) কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল। দুটি মিলিয়ে সাধারণ শয্যা আছে ২০০টি। আইসিইউ আছে ২০ টি। হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা ১৯টি আর ভেন্টিলেটর ১০টি। পরীক্ষা হয় আরটিপিসিআর মেশিনে। সবমিলিয়ে এই দুটি হাসপাতালই ভরসা পুরো বিভাগের মানুষের।
ময়মনসিংহ শহর ছাড়া অন্য তিন জেলায় সেবা দেয়া হয় নামমাত্র। নেই আইসিইউসহ অন্য কোনও ধরনের সুবিধা। ফলে প্রতিদিনই অনেককেই ছুটতে হচ্ছে রাজধানীর দিকে।
অন্যান্য বিভাগের তুলনায় জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি ময়মনসিংহে। এ বিভাগের ৪ জেলায় জনসংখ্যা ১ কোটি সাড়ে চৌদ্দ লাখের মত। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের করোনা চিকিৎসার জন্য আইসিইউ মাত্র ২০টি। সেটিও শুধু বিভাগীয় শহরেই।
জামালপুর জেলায় করোনার রোগীদের জন্য সাধারণ শয্যা আছে ৬৯টি। হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা থাকলেও গেল এক বছরে আইসিইউ দূরে থাক হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলাও চালু করতে পারেনি।
এ বিষয়ে জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস বলেন, ‘সেন্ট্রাল অক্সিজেনের লাইন স্থাপন করা হয়েছে এবং ১০টি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা পেতে যাচ্ছি। কাজ শেষ হলে করোনার রোগীদের সেবা দিতে পারব।’
নেত্রকোণা সরকারি হাসপাতালেও আছে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা। কিন্তু জামালপুরের মত এখানেও করোনা রোগীদের জন্য আর কোনও সুবিধার ব্যবস্থা করতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ। কোনও কোভিড রোগীর অবস্থা একটু খারাপ হলেই পাঠিয়ে দেয়া হয় ময়মনসিংহ বা ঢাকায়।
শেরপুরে সরকারিভাবে করোনা চিকিৎসা চলছে নামেই। সিভিল সার্জনের দেয়া তথ্যমতে এ জেলায় কোভিড শয্যা ১০০টি। হাসপাতালের নতুন ভবনে আছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন এবং পর্যাপ্ত হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার ব্যবস্থা।
তবে এখনি কোভিড আক্রান্ত রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় আইসিইউর প্রস্তুতি না নিলে বিভাগের করোনা আক্রান্তদের মধ্যে হাহাকার সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।