প্রায় প্রতিবছরই দেখা যায় মুসলিম ফুটবলাররা পবিত্র রমজান মাসে তাদের নিয়মিত কাজ এবং প্রশিক্ষণ আরো নিষ্ঠার সাথে কারার সংকল্প করেন। খেলা যত উত্তেজনাপূর্ণ আর বড় পরিসরেরই হোক না কেন মো, সালাহ ও করিম বেনজেমার মতো বড় তারকারও প্রকাশ্যে রমজান পালন করেন। এই রমজানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল এবং নিজ দেশের ঘরোয়া লিগে খেলবেন এমন কয়েকজন ফুটবলার নিয়ে এই প্রতিবেদন।
মো. সালাহ: গত বছর রমজানের সময় নিজের ইনস্টাগ্রামে প্রশিক্ষনের সূচি প্রকাশ করেছিলেন সালাহ। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল মধ্যরাত অর্থাৎ ২টা ৪০ মিনিট থেকে তিনি প্রশিক্ষণ শুরু করবেন। ভক্তরার তখন ধারণা করেছিল রোজার কারণে তিনি নির্ধারিত সূচির পরিবর্তন করেছেন। কিন্তু ২০১৯ সালে রোজার মাঝে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চলাকালে মিসরীয় এই লিভারপুর তারকাকে টিভিতে সরাসরি দিনের বেলা পানি পান করতে দেখা গেছে। অবশ্য ক্লাবের জার্মান ম্যানেজার বলেছেন, সালাহ যদি রোজা রেখে খেলতে চান তবে আমাদের আপত্তি নেই।
কারিম বেনজেমা: রিয়াল মাদ্রিদের এই স্ট্রাইকার রমজানে প্রায়ই ইফতারের সময় ছবি পোস্ট করেন। ১৪ এপ্রিল তার লিভারপুলের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের (সিএল) কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার কথা। ফরাসী মুসলিম গত বছর রমজান মাসে দুবাই স্পোর্টস কাউন্সিলের ‘বি ফিট, বি সেইফ’ প্রচারে অংশ নিয়ে বলেছিলেন, ‘এই রমজান মাসে আমার বন্ধু-বান্ধব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বিশ্বের সমস্ত মুসলমানের জন্য আমার একটি বার্তা আছে। করোনাভাইরাসের কারণে এই সময়টি সবার কাছে কঠিন হয়ে পড়েছে, সুতরাং এই সংকটে আমাদের একে অপরকে সাহায্য চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আপনারা নিরাপদে থাকুন এবং প্রিয়জনদের যত্ন নিন।
ওজিল: সাবেক আর্সেনাল প্লেমেকার এবং জার্মানি জাতীয় দলের খেলোয়াড় ওজিল গত শুক্রবার রমজানকে স্বাগত জানিয়েছে একটি টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, প্রতিটি পরীক্ষার জন্য আমি কৃতজ্ঞ কারণ এগুলো আমাকে আল্লাহর গভীর সান্নিধ্যে নিয়ে যায়। ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে আরো কয়েকজন মুসলিম খেলোয়াড়ের সাথে ওজিলও রোজা না রাখঅর সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন খেলাটা এখন আমার চাকরী। তারই স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো উদ্বেগ বাড়াতে চাই না। অবশ্য ভ্রমণের বিষয়টিও এখানে প্রাধান্য পেয়েছে।
পল পগবা : ফ্রান্স জাতীয় দল এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলোয়াড় পল পগবা ২০১৯ সারে মক্কায় গিয়ে হজ পালন করেছেন। তখন তিনি ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘ইসলাম আমাকে পরিবর্তন করেছে, জীবনের জিনিসগুলি অনুধাবন করতে শিখিয়েছে। এটি আমার জীবনে একটি ভাল পরিবর্তন ছিল কারণ আমি মুসলিম হিসাবে জন্মগ্রহণ করি নি, যদিও আমার মা মুসলিম ছিলেন।
সূত্র : গালফ নিউজ