স্যোশাল মিডিয়াগুলোর বদৌলতে অধিকাংশ মজাদার ‘মিম’-এ এই হাসি মুখটি আমরা প্রায়ই দেখে থাকি। মজাদার মিমের ’নায়ক’ তিনি। তাই আজ আর নেটিজেনদের কাছে তাকে অপরিচত ব্যক্তিত্ব বলা যায় না। কিন্তু মনে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। ছবিটি কাল্পনিক? নাকি এই ছবির আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে কোনো বাস্তব মুখ?
শুনলে হয়তো অবাকই হবেন, এটি কাল্পনিক নয়। হাস্যকর এ ছবিটি চীনের সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড় ইয়াও মিং-এর। কিন্তু তার ছবি কীভাবে ভাইরাল হলো?
২০০৯ সালে একটা বাস্কেটবল ম্যাচের পরে সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন ইয়াও মিং ও তার ম্যাচ পার্টনার। সাংবাদিকদের নানান প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে একবার মিং-এর পার্টনার মজা করে জানান, খেলা শেষে দর্শকাসন থেকে তাকে বিয়ার খাওয়ার আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু যেহেতু চারিদিকে তখন শত-শত ক্যামেরা তাদের ঘিরে রেখেছিল তাই সেই সাধ মেটানো সম্ভব হয়নি। একথা শোনার পরই মিং সহ উপস্থিত সবাই হেসে ওঠেন। হাসির সময় রকমারি মজার অভিব্যক্তিও ফুটে ওঠে মিং-এর মুখে। আর সাথে সাথেই তা ক্যামেরাবন্দি হয়।
পরের বছর অর্থাত, ২০১০ সালে ‘রেজ কমিক্স’ ক্যাম্পেনের মাধ্যমে ‘ডাম্ব বিচ’ নামে মিং-এর এই অভিব্যক্তির ছবি দিয়ে তৈরি মিমটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
সেই থেকে শুরু। হাস্যকর ‘সোশ্যাল পোস্ট’- মানেই ইয়াও মিং-এর ছবি।
৩৯ বছর বয়সী সাড়ে সাত ফুট উচ্চতার ইয়াং মিং চীনের সাংহাই প্রদেশের বাসিন্দা। মাত্র এক বছর বয়সেই একটি কানের শ্রবণশক্তি হারিয়েছিলেন মিং। ছবির মতই বাস্তবেও বেশ রসিক মানুষ মিং। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- ‘ব্রাদার’ ডাকের বদলে সতীর্থদের কাছ থেকে ‘আঙ্কল’ শুনতেই বেশি পছন্দ করতেন তিনি। এ বিষয়ে তার বক্তব্য তিনি ‘ব্রাদার’ ডাকের চেয়ে বয়সে বেশ কিছুটা বড়।
চীনের সাংহাই শার্কস-এর হয়ে দীর্ঘদিন বাস্কেটবল খেলেছেন তিনি। খেলেছেন আমেরিকায় এনবিএ -র হিউস্টন রকেটস দলেও। খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর মিং চীনা বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদে নিযুক্ত হন।