কক্সবাজারের পেকুয়ায় মধ্যরাতে সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে সেলিনা আক্তার (৩৭) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছে। এসময় সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত হয়েছেন নাজমুল সাকিব (২৩) ও সাইফুল ইসলাম (২৩)। তারা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে সাকিবের অবস্থা আশংকাজনক।
রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউপির বুধামাঝির ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা জড়ো হয়ে মো. হোসেনের ছেলে সন্ত্রাসী মাহামুদুল করিম ও মফিজুর রহমানকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
গুলিতে নিহত গৃহবধূ একই এলাকার ফরিদুল আলমের স্ত্রী। আহতরা হলেন-ওই এলাকার মো. সেলিমের ছেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজমুল সাকিব ও নুরুল আবছারের ছেলে সাইফুল ইসলাম। এ ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা জড়ো হয়ে মো. হোসেনের ছেলে সন্ত্রাসী মাহামুদুল করিম ও মফিজুর রহমানকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
নিহতের স্বামী ফরিদুল আলম বলেন, মধ্যরাতে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করে নুরুল ইসলামের বসতবাড়িতে তাণ্ডব চালায়। তাণ্ডব চালিয়ে চলে যাওয়ার সময় আমার বাড়ির ৪টি গরু লুট করার চেষ্টা করে। ওই সময় আমার স্ত্রী সেলিনা বাড়ি থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই স্ত্রীকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করে। গুলির আওয়াজ শুনে সাকিব ও সাইফুল বাড়ি থেকে বের হলে তাদেরকেও গুলি করা হয়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা আমার ৪টি গরু লুট করে নিয়ে যায়।
একই এলাকার মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম বলেন, একই এলাকার মৃত সাহাব মিয়ার ছেলে মো. হোসেন, মৃত আবদু রহমানের ছেলে আক্তারুজ্জামান ও ইউপি সদস্য আবু ছৈয়দ টুকুর নির্দেশে মাহামুদুল করিম, মফিজুর রহমান, মামুন ও কাইছারসহ সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা মধ্যরাতে অবৈধ অস্ত্রের ফাঁকাগুলি বর্ষণ করে আমার বসতবাড়িতে তাণ্ডব চালায়। ভেঙে দেয় পুরো বসতবাড়ি। ওখান থেকে চলে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা ফরিদুল আলমের বাড়ির গরু লুট করতে গিয়ে তার স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করে। গুলিবিদ্ধ করে আরো দুইজনকে আহত করে। ওই সময় স্থানীয়রা জড়ো হয়ে দুই সন্ত্রাসীকে আটক করে।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কানন সরকার বলেন, জায়গা দখল বেদখল নিয়ে সংঘর্ষ হয়। ওখানে পাশের বাড়ির সেলিনা আক্তার গুলিতে নিহত হয়েছে বলে জেনেছি। ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছি।
তিনি আরো বলেন, নিহতের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।