যেভাবে যৌন হেনস্তার শিকার হচ্ছেন জাতিসঙ্ঘকর্মীরা

গত দু’বছরে জাতিসঙ্ঘের স্টাফ ও কন্ট্রাক্টরদের এক-তৃতীয়াংশ যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। মঙ্গলবার জাতিসঙ্ঘ প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে। নভেম্বরে এ বিষয়ে জরিপ পরিচালনা করে ডেলোইটি। তাতে জাতিসঙ্ঘ ও এর এজেন্সিগুলোর ৩০ হাজার ৩৬৪ জন সদস্যের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়। এতে যে পরিমাণ মানুষ সাড়া দিয়েছেন তাকে অনেক কম বলে স্টাফদের প্রতি বর্ণনা করেছেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

অ্যান্তোনিও গুতেরেস স্টাফদের উদ্দেশে লিখেছেন, এ থেকে আমরা দু’টি বিষয় পাই। এক. যৌন হয়রানির বিষয়ে পুরোপুরি ও খোলামেলা কথা বলতে সক্ষম হওয়ার আগে আমাদেরকে এখনো অনেক দূর যেতে হবে। দুই. এখনো অবিশ্বাস, ব্যবস্থা না নেয়া ও জবাবদিহির ঘাতটির বিষয় থাকতে পারে।

সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে যে ‘মি-টু’ আন্দোলন শুরু হয়, তারই ভিত্তিতে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। জাতিসঙ্ঘের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, যারা জরিপে অংশ নিয়েছেন তাদের ২১.৭ শতাংশ যৌন কাহিনী বা আপত্তিকর কৌতুকের মুখোমুখি হয়েছেন। ১৪.২ শতাংশ বলেছেন তারা তাদের শারীরিক অথবা যৌন কর্মকাণ্ড অথবা দেখতে কেমন তা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য পেয়েছেন। ১৩ শতাংশ বলেছেন যৌনতা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করার মতো অনাকাক্সিক্ষত বিষয়ে তাদেরকে টার্গেট করা হয়েছে। প্রায় ১০.৯ শতাংশ বলেছেন যৌন কায়দায় শারীরিক ভাষার ব্যবহার নিয়ে টার্গেট করা হয়েছে তাদের। ১০.১ শতাংশ বলেছেন তাদেরকে এমনভাবে স্পর্শ করা হয়েছে, যা তাদের কাছে অস্বস্তিকর। যারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন তাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি বলেছেন, তাদের সাথে এমন আচরণ করা হয়েছে অফিসের ভেতরে। ১৭.১ শতাংশ বলেছেন, তাদের সাথে এমনটা ঘটেছে কাজসংক্রান্ত সামাজিক ইভেন্টে। হয়রানিকারীদের তিনজনের মধ্যে দু’জনই হলেন পুরুষ। প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন বলেছেন তারা এমন যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন।সূত্র : রয়টার্স

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top