চীনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত জন ম্যাককালামকে বরখাস্ত করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। চীনের টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে কানাডা গ্রেফতারের পর এ নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের জেরে বরখাস্ত হলেন তিনি।
মি. ট্রুডো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘তিনি ম্যাককালামকে পদত্যাগ করার কথা বলেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রুডো। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করেননি।’
পরে তাকে বরখাস্তের কথা বলা হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। তবে কী কারণে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘গতকাল রাতে আমি চীনে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত জন ম্যাককালামকে পদত্যাগের জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলাম।’
ম্যাককালাম গত মঙ্গলবার বলেছিলেন, কানাডায় হুয়াওয়ের কর্মকর্তা মেং ওয়াংঝোকে গ্রেফতারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ অনেক ত্রুটিপূর্ণ ছিল। আর এই মন্তব্যের জন্যই বিতর্কিত হয়ে পড়েন ম্যাককালাম।
তবে এর পরদিনই ম্যাককালাম তার মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বলেন, তিনি যে মন্তব্য করেছিলেন, তা বিভ্রান্তি তৈরি করেছিল।
কিন্তু গত শুক্রবার ম্যাককালাম আবার এক বিবৃতিতে বলেন, এটি কানাডার জন্য অনেক ভালো হতো যদি যুক্তরাষ্ট্র তাদের অভিযোগ তুলে নেয়।
তার পরেই বরখাস্ত করা হয় ম্যাককালামকে।
ম্যাককালামকে বরখাস্তের পর ট্রুডো এই প্রবীণ কূটনীতিকের উদ্দেশে বলেন, তিনি কানাডার জন্য অনেক দায়িত্বশীল কাজ করেছেন। এ জন্য ম্যাককালাম ও তার পরিবারকে ধন্যবাদ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে মেং ওয়াংঝোকে কানাডায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ক্ষুব্ধ হয়েছে চীন। এ জন্য চীনের সাথে কানাডার সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে।
কানাডার এক নাগরিককে ১৫ বছরের জেল দিয়েছিল চীন। কিন্তু পরে চলতি মাসের শুরুর দিকে তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। ওই ব্যক্তির ১৫ বছরের জেল তার অপরাধের জন্য কম হয়ে যায় বলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। মেং ওয়াংঝোকে গ্রেফতারের পর কানাডার আরো দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে চীন।
চীনের বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে মেং-কে আটক করেছে কানাডা। মেং ওয়াংঝোকে গ্রেফতারের অনুরোধ তুলে নেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত মাসে কানাডার আদালতে জামিন নিয়ে মুক্তি পেয়েছেন মেং।