যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়িসহ ৭ স্থানে বোমা হামলা : আ’লীগের বিক্ষোভ

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়াম্যান শাহীন চাকলাদারের বাসভবনসহ তার দুটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে বোমা হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা।

শনিবার রাত একটার পর শাহীন চাকলাদারের শহরের কাঠালতলার বাসভবনে বোমা হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। পরে সন্ত্রাসীরা তার মালিকানাধীন জাবির হোটেল ইন্টারন্যাশনাল এবং চাকলাদার ফিলিং স্টেশনেও বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।

একই রাতে যুবলীগ নেতা তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু, শ্রমিক নেতা আজিজুল আলম মিন্টু, ছাত্রলীগ নেতা রাসেল আহমেদের বাড়িতেও বোমা হামলা চালায় তারা। সবশেষে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বাসভবনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুসারী সন্ত্রাসী ম্যানসেল, ডিম রিপনরা এসব হামলার সাথে জড়িত।

জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক এস এম মাহমুদ হাসান বিপু জানান, সন্ত্রাসীরা একযোগে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে বোমা হামলা করেছে। শান্ত শহরকে অশান্ত করার পরিকল্পনা হিসেবে তারা এই বোমা হামলা করে। পরে ব্যালেন্স করতে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বাড়িতে ককটেল ফাটানো হয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আজ রোববার সকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব বোমা হামলার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের আটকের আল্টিমেটাম দেয়া হয়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে সমাবেশ থেকে জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের নিবেদিত নেতাকর্মীদের যারা হত্যা করেছে সেইসব সন্ত্রাসীরা এই বোমা হামলার সাথে জড়িত। ফিঙে লিটন, ম্যানসেল বাহিনীর সদস্যরা গতরাতে একযোগে এই হামলা চালায়। নজরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান, মনোয়ার হোসেন ইমনসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের নিবেদিত নেতাকর্মীদের যারা হত্যা করেছে তারা এখন প্রকাশ্যে। এরাই যশোর শহরকে অশান্ত করার চক্রান্তের অংশ হিসেবে এই হামলা চালিয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই সন্ত্রাসীদের আটক করতে হবে। তা না হলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের নির্দেশে নেতাকর্মীরা রাজপথে নামবে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একেএম খয়রাত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর জহুরুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু, সদস্য শাহারুল ইসলাম, কবিরুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার কাজী আলমগীর হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহামুদ বিপুল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল, যশোর পৌরসভার কাউন্সিলর হাজী সুমন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নেয়ামত উল্লাহ, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির শিপলু, নুরুলাহ খান লিখন, বর্তমান সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী, সাধারণ সম্পাদক ছালছাবিল আহমেদ জিসান, পৌর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান রনি প্রমুখ।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top