শেরপুরে উৎপাদিত বীজ আলুর সরকারি মূল্য কমিয়ে দেওয়ায় চাষিদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। গতবার সরকার কৃষকদের কাছ থেকে গ্রেড বিবেচানায় প্রতিকেজি আলু কিনেছে ২২ থেকে ২৩ টাকায়। কয়েক দিন আগে সরকার এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে, এ বছর প্রতিকেজি আলুর দাম দিবে ১৬ থেকে ১৯ টাকায়। এ নিয়ে কদিন ধরেই আলু চাষি ও সরকারের এই সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষ বিএডিসির সাথে কয়েকবার দেন দরবারও হয়েছে।
শেরপুর বিএডিসি সাফ জানিয়ে দিয়েছে এটা স্থানীয় নয় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বিষয়। বাধ্য হয়েই হতাশাগ্রস্ত চাষিরা আজ ১১ এপ্রিল রবিবার সকালে শহরের মাধবপুরস্থ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রতি কেজি আলুর দাম ২৬-২৭ টাকা করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সাংবাদিক সন্মেলনে শতাধিক চাষি উপস্থিত ছিলেন। এতে শেরপুর সদর উপজেলায় বিএডিসির চুক্তিভিত্তিক কৃষকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আলু চাষি সমিতির সভাপতি মো. উসমান গণি।
চাষি সূত্র জানায় বিগত বছরের তুলনায় (বীজ) আলু উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। একে তো এ বছর সরকারের বিএডিসির সরবরাহ করা আলুর বীজ খারাপ ছিল, ফলে উৎপাদন কম হয়েছে, খরচও গতবারের তুলনায় শতকরা ৩০ ভাগ বেশি হয়েছে। তার উপর আবার দাম কমানো হয়েছে।সরকারি এই সিদ্ধান্ত চাষিদের মরার উপর খারার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্তৃপক্ষ চাষিদের সাথে বিমাতা সুলভ আচরণ করেছে বলে চাষিদের অভিযোগ। যেখানে চাষিরা ভর্তুকি আশা করছে সেখানে প্রাপ্য দাম আরও কমনো হলো। এই সিদ্ধান্ত চাষিরা কোন অবস্থাতেই মানবে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
এই দাম দিলে চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হবে স্বীকার করে শেরপুর বিএডিসির (টিসি) উপ-পরিচালক মো. খলিলুর রহমান বলেন, জেলায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৬০ একর জমিতে ২ হাজার ৩শ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়েছে। মূল্য পুনর্মূল্যায়নের দাবি রাখে বলে মন্তব্য করে তিনি এই বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে জানান।