স্থগিতকৃত গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ঐক্যফন্ট সমর্থিত ধানের শীষের প্রার্থী জাপার (জাফর) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরী গত ২০ ডিসেম্বর মারা গেলে এ আসনের ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছিল নির্বাচন কমিশন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, সাদুল্যাপুরের ১১টি ও পলাশবাড়ী উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৩ আসন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৩২টি। এ জন্য ১৩২ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৭৮৬ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও এক হাজার ৫৭২ জন পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। মোট ভোটার চার লাখ ১১ হাজার ৮৫৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৭৪৬ জন এবং মহিলা দুই লাখ ১১ হাজার ১০৮ জন।
এ উপলক্ষে নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোট গ্রহণের সুবিধার্থে সাদুল্যাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলার সব ব্যাংক বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া এই দুই উপজেলার সব সরকারি, বেসরকারি অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ ও মাদরাসাও বন্ধ থাকবে।
গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, নির্বাচনের দিন দুই উপজেলায় দুই হাজার ৫০০ পুলিশ সদস্য, বিজিপি ২০ প্লাটুন, র্যাব ২০ প্লাটুন ও এক হাজার ৫৮৪ জন আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় দফায় জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা: মইনুল হাসান সাদিক মনোনয়নপত্র দাখিল করেন; কিন্তু প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন গত ১০ জানুয়ারি ভোট কারচুপি ও অনিয়মের আশঙ্কায় সাদিকসহ বাসদ ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এখন ভোটের লড়াইয়ের মাঠে রয়েছেন পাঁচজন প্রার্থী। তারা হলেন মহাজোটভুক্ত আ’লীগ প্রার্থী ডা: ইউনুস আলী সরকার (নৌকা), জাপা (এ) প্রার্থী দিলারা খন্দকার (লাঙ্গল), জাসদ প্রার্থী এস এম খাদেমুল ইসলাম খুদি (মশাল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মিজানুর রহমান তিতু (আম) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো: জাহিদ (সিংহ)।