জিনজিয়াং প্রদেশের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে চীনের মুখোশ খুলে দিল আমেরিকা। এই মুসলমানদের ওপর গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ চালাচ্ছে শি জিনপিংয়ের দেশ।
বৈশ্বিক মানবাধিকার নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে ১৮০টির বেশি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির মূল্যায়ন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জানান, উইঘুর মুসলমান ছাড়াও অন্যান্য নৃতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধ চালায় চীন। আন্তর্জাতিক আইন মেনেই দেশটির ওপর ভ্রমণ ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আভাস দিয়েছেন তিনি। অবশ্য সবধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে চীন।
জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, জিনজিয়াংয়ের ক্যাম্পগুলোয় বন্দি ১০ লাখের বেশি উইঘুর মুসলিম। তাদের জোরপূর্বক কম্যুনিস্ট মতার্দশে দীক্ষা দেয়া হচ্ছে। বাধ্যতামূলক শ্রমের পাশাপাশি রয়েছে ধর্ষণ, হত্যা, ধর্মীয়-বাক স্বাধীনতা হরণের মতো অভিযোগও।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, বিশ্বের প্রত্যেকটি অঞ্চল থেকে পাওয়া তথ্যে স্পষ্ট, মানবাধিকার ভুল পথে যাচ্ছে। জিনজিয়াংয়ে শুধু উইঘুর মুসলিম নয় বরং সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর ওপর চালানো হচ্ছে নির্যাতন। এমনকি গণহত্যা চালাতেও পিছুপা হচ্ছে না চীন সরকার। বৈশ্বিক মানবাধিকার রক্ষায়, মার্কিন কূটনীতির সব কৌশল ব্যবহৃত হবে। দায়ীদের আনা হবে জবাবদিহিতার আওতায়।