ময়মনসিংহে বিএনপি অফিসে পুলিশ পাহাড়া : বিক্ষোভ হলো র‌্যালীর মোড়ে

Mymensingh BNPস্বাধীনতা দিবসে ‘মানুষ হত্যা’ ও ‘পুলিশি হামলার’, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার হরণের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে ময়মনসিংহে পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি। বিক্ষোভ কর্মসূচীতে পুলিশ বিএনপি অফিসের সামনে কঠোর অবস্থান নিলে দুপুরে বিএনপি নেতাকর্মীরা স্থান পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়।

এদিকে বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এক ই-মেইল বার্তায় অভিযোগ করেছেন, শহরের নতুন বাজারস্থ বিএনপি জেলা কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি পালনে পুর্ব নির্ধারিত স্থান থাকলেও আজ ভোর থেকে পুলিশ বিএনপি কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখে এবং কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা দেয়। সকাল এগারটার দিকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মরহুম একেএম মোশাররফ হোসেনের বাসভবন, জেলা স্কুল মোড়, নতুন বাজার, কৃষ্ণচুড়া চত্বরে কর্মসুচী পালনের জন্য জমায়েত হওয়া নেতা কর্মীদের ধাওয়া দেয়। টাউন হল, কাচারীসহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের দাড়াতেই দেয় নাই। পরে দুপুর সাড়ে বারটায় স্টেশন রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা।

বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু, আলমগীর মাহমুদ আলম, ডা. মোফাখখারুল ইসলাম রানা, মাহবুবুল আলম, যুবদল জেলা সভাপতি রোকুনুজ্জামান সরকার, সাধারণ সম্পাদক এড.দিদারুল ইসলাম, শ্রমিক দলের সভাপতি আবু সাঈদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা সভাপতি শহিদুল আমিন খসরু, ছাত্র দলের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল হকসহ ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মিছিলের পর রেলির মোড়ে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সরকার পাখির মতো গুলি করে নিরীহ মানুষ হত্যা করেছে। স্বাধীনতা দিবসে বাংলার জনপদে রক্ত ঝড়িয়েছে। খুনী সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নাই।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতুয়ালী মডেল থানার ওসি মো ফিরোজ তালুকদার বলেন, করোনার কারনে সভা সমাবেশের ওপর সরকারী বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে। এ ছাড়া বিএনপির অফিস থেকে নেতাদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়।

অপরদিকে গতকালের বিক্ষোভের ঘটনায় ময়মনসিংহে মহানগর বিএনপি ছাত্রদল ও যুবদলের গ্রেফতার ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত চার শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা করেছে পুলিশ। বিস্ফোড়ক দ্রব্য আইন ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সোমবার রাতে এই মামলা করা হয়। ময়মনসিংহ কোতুয়ালী মডেল থানার ওসি মো ফিরোজ তালুকদার এই খবর নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার শহরের নতুন বাজার এলাকায় বিএনপি ও অংগসংগঠনের ছয় নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। সোমবার দুপুর সোয়া বারটার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় কেন্দ্রিয় কর্মসুচী পালনের জন্য নেতাকর্মী দলীয় অফিসে যাওয়ার সময় পুলিশ বাধা দেয়। বাধা পেয়ে নেতাকর্মীরা মিছিল করা শুরু করতেই পুলিশ তাদের আটক করে পুলিশ ভ্যানে ওঠায়। মামলায় জ্ঞাত আসামীরা হলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য এফআই ফারুক, ৩২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এড ওয়াসিম, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমন চৌধুরী, মহানগর পশ্চিম থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব গোবিন্দ রায়, মহানগর যুবদলের কর্মী স্বপন ও আলী।

Share this post

scroll to top