নির্ধারিত সময়ে হচ্ছে না এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা

চলতি বছরের জুন মাসে ২০২১ সালের এসএসসি, জুলাই-আগস্ট মাসে এইচএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলায় এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে হবে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আগামী ২২ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের পাঠদান কার্যক্রম পিছিয়ে যাবে। আগামী সেপ্টেম্বরে এসএসসি ও ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যখনই খোলা হোক না কেন শিক্ষার্থীদের সশরীরে পাঠদানের পরই পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। এবার আর অটোপাসের সুযোগ নেই।

সূত্র জানায়, শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এ বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এনসিটিবির সিলেবাসয় অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ৬০ কর্ম দিবস ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ৮০ কর্ম দিবসের পাঠ পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে। এই সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়া হবে।

ঈদের পর যথা সময়ে স্কুল কলেজ খোলা সম্ভব হলে সেপ্টেম্বরে এসএসসি পরীক্ষা ও ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। তবে করোনা পরিস্থিতি যদি খারাপ থাকে তাহলে সেটি পরিবর্তন হতে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যখনই খোলা হোক না কেন, ক্লাস নিয়ে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আন্ত:শিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ সোমবার (২৯ মার্চ) বলেন, করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সবকিছুই পিছিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যেহেতু ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে হয়তো দেখা যাবে সেপ্টেম্বরে এসএসসি ও ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যখনই খোলা হবে, তখন ক্লাস নিয়েই পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। ক্লাস না করিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। অনলাইনে ক্লাস চলমান থাকলেও অনেক শিক্ষার্থী সেই ক্লাসে অংশ নিতে পারেনি। ফলে ক্লাস না করিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে না।

অটোপাসের সুযোগ নেই জানিয়ে প্রফেসর নেহাল আহমেদ বলেন, আমরা আর অটোপাসে যেতে চাই না। পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দিতে চাই। এক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যখনই খোলা হবে, তখন এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ৬০ দিন আর এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ৮০ দিন ক্লাস করিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর। করোনা পরিস্থিতি যেভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে, তাতে যেকোনো সিদ্ধান্তই হতে পারে।

Share this post

scroll to top