মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে একটি চিঠি পাওয়ার পর উত্তর কোরিযার নেতা কিম জং উন ‘ব্যাপক সন্তুষ্টি’ প্রকাশ করেছেন – দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম এমনটাই জানাচ্ছে।
মি. কিম গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফর করে আসা তার একজন শীর্ষস্থানীয় সহযোগীর সাথে বৈঠকের পর এই মন্তব্য করেছেন।
ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ দু’পক্ষই দ্বিতীয় দফা বৈঠকের পরিকল্পনা করছেন, হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
যদিও গত জুনে দুই পক্ষের ঐতিহাসিক প্রথম দফা বৈঠকের পর থেকে এ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রকল্প খুব সামান্যই এগিয়েছে।
এর মাঝে দ্বিতীয় দফা বৈঠকের জন্য এই মাসে আকস্মিক কিছু কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়।
কিম জং উনের প্রধান মধ্যস্থতাকারী কিম ইয়ং-চোল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে যখন হোয়াইট হাউজে দেখা করেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন-পিং এর সাথে বৈঠকের জন্য তখন উত্তর কোরীয় নেতা চীন সফরে যান, যেমনটা সিঙ্গাপুরে প্রথম দফা বৈঠকের আগেও তিনি করেছিলেন।
কেসিএনএ বলছে, ” কিম জং-উন বলেছেন যে, আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইতিবাচক চিন্তাধারাকে বিশ্বাস করি; ধৈর্য এবং শুভ আস্তা নিয়ে অপেক্ষা করছি, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একত্র পদক্ষেপে দুই দেশের অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।”
এর আগে উত্তর কোরীয় নেতা নতুন বছরের বক্তব্যে আমেরিকা তার দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখলে তার দেশও নীতি বদলাবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়ার পর এবার এই সম্প্রীতির বক্তব্য এলো ।
তবে এই সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হবে সে সম্পর্কে নিশ্চিত ঘোষণা আসেনি। পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছেন, এবার ভিয়েতনামকে বেছে নেয়া হতে পারে সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে।
২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে আমেরিকার মূল ভূ-খণ্ডে আগাত হানেতে সক্ষম এমন শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর এবং দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হুমকির সিঙ্গাপুরে বৈঠকের উদ্যোগ নেয়া হয়।
সেই সম্মেলন শেষ হয় পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের সমঝোতার মধ্য দিয়ে যার সামান্যই সম্পন্ন হয়েছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল রয়েছে এবং উত্তর কোরিয়া তার পরমাণু ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত প্রকাশও করেনি।