সাকিব আল হাসান নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে মহাবিপদে সাকিব। তার এখন আইপিএল খেলা অনিশ্চিত।
৩ কোটি ২০ লাখ রুপিতে বাংলাদেশ সেরা এই অলরাউন্ডারকে দলে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। তাদের এখন সাকিবের বিকল্প খুঁজতে হবে।
শুধু আইপিএল খেলাই নয়, ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় হয়েও কর্তাদের ব্যাপারে আপত্তিকর মন্তব্য করে সাকিব এখন মহাবিপদে।
শনিবার ভিডিও লাইভে সাকিব যে মন্তব্য করেছেন তাতে এ বছরই নয়,ভবিষ্যতে আইপিএলসহ অন্য কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন কিনা তা হলফ করে বলা মুশকিল।
সাকিব কী এমন বলেছিলেন যে, বোর্ডের কর্তারা তার ওপর ক্ষুব্ধ। ভিডিও লাইভে সাকিব বলেন, আকরাম ভাই বলেছেন আলাদা করে। গতকালও সম্ভবত কোথাও বলেছেন যে, আমি টেস্ট খেলতে চাই না। আমার ধারণা তিনি চিঠিটা ঠিকভাবে পড়েননি। বারবার তিনি বলছেন, আমি টেস্ট খেলতে চাই না। এটা আমি কোথাও বলিনি।
আমি যে মাঠে খেলব সেই মাঠেই সেই প্রতিপক্ষের সঙ্গে চার মাস পর খেলব বিশ্বকাপ। আমি তাই এ জায়গায় অন্যদের তুলনায় বেশি প্রস্তুতি নিতে পারব। বাংলাদেশ দলের অন্যদের সঙ্গেও আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারব। এটা দলকে সাহায্য করবে। একেকজনের কাছে একেকরকম মনে হতে পারে। যে যে জায়গায় থাকে, সেই শুধু সেই পরিস্থিতিটা বুঝবে। আমি আশাও করি না সবাই এটা বুঝবে। মানুষের কথা থাকবেই, এটা নিয়ে আমি চিন্তা করি না। এমন কোনো জায়গা থেকে ভুল মন্তব্য করা উচিত নয়, যেটা মানুষকে ভুল ভাবতে সাহায্য করে।
ক্রিকেট অপারেশন্স জাতীয় দল নিয়ে কী কাজ করেছে, কী প্ল্যান করছে? তাদের ব্যর্থতা বা সাফল্য কী? আকরাম ভাই তো অনেক গাটসি (সাহসী) মানুষ, এর আগে উনি পদত্যাগও করেছেন। ব্যর্থতার দায় তো তার ওপরও পড়ে নাকি?
আমাদের এইচপি শেষ চার-পাঁচ বছরে কয়টা খেলোয়াড় তৈরি করেছে, আমি জানি না। অনেকেই আছেন, তারা এক সময় বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তারা আসলে (বোর্ডে) কী নিয়ে কাজ করছেন, আমি জানি না।