একদিনের ক্রিকেটে ১০০ উইকেট নিতে ইরফান পাঠানের লেগেছিল ৫৯ ম্যাচ। তিনিই এতোদিন ছিলেন ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম। বুধবার ইরফানকে টপকে গেলেন মোহাম্মদ শামি। শততম উইকেটে পৌঁছতে তার লাগল ৫৬ ওয়ানডে।
গত বছর ব্যক্তিগত ঝামেলায় ছিলেন শামি। তা পেছনে ফেলে এখন সামনে এগুচ্ছেন। টেস্টে পুরনো ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন। নতুন বছরের গোড়ায় অস্ট্রেলিয়ায় তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজেও ভরসা দিয়েছেন দলকে।
সিডনিতে প্রথম ম্যাচে যদিও নতুন বল দেয়া হয়নি তাকে। তৃতীয় পেসার হিসেবে এসেছিলেন আক্রমণে। অ্যাডিলেড ও মেলবোর্নে অবশ্য ভুবনেশ্বর কুমারের সাথে নতুন বল হাতে শামিই দৌড়ে আসেন। তিন ম্যাচে তিনি নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। ভুবনেশ্বর আটটি আর যুভেন্দ্র চাহালের ছয় উইকেটের পর তিনিই ছিলেন ভারতীয়দের মধ্যে সর্বাধিক উইকেটসংগ্রহকারী।
নিউজিল্যান্ডেও তাই হয়েছে। নেপিয়ারে পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম একদিনের ম্যাচে দুই কিউই ওপেনারকেই আউট করেছেন তিনি। তার শততম শিকার হলেন ডানহাতি ওপেনার মার্টিন গাপ্টিল। পঞ্চম বলেই তাকে বোল্ড করেন শামি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফের বোল্ড করেন বাঁ-হাতি ওপেনার কলিন মুনরোকে। আর দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে এসে নিলেন মিচেল স্যান্টনারের উইকেট।
ভারতীয়দের মধ্যে ওয়ানডে ফরম্যাটে দ্রুততম ১০০ উইকেটের তালিকায় এখন পরপর থাকলেন শামি (৫৬ ম্যাচ), ইরফান (৫৯ ম্যাচ), জাহির খান (৬৫), অজিত আগরকর (৬৭ ম্যাচ), জাভাগল শ্রীনাথ (৬৮ ম্যাচ)।
বর্ষসেরা টেস্ট দলের অধিনায়ক বিরাট
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি মঙ্গলবার বর্ষসেরা ওয়ানডে ও টেস্ট দল ঘোষণা করেছে। ওয়ানডে দলে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে পেসার মোস্তাফিজুর রহমান স্থান পেয়েছেন। তবে টেস্ট একাদশে নেই বাংলাদেশের কেউ।
এই দলের নেতৃত্বে আছেন বিরাট কোহলি। এছাড়া আছেন আরেক ভারতীয় জসপ্রিত বুমরাহ। আছেন পাকিস্তানের ‘রকস্টার’ মোহাম্মদ আব্বাস।
বর্ষসেরা টেস্ট একাদশ (ব্যাটিং ক্রম অনুযায়ী) : টম লাথাম (নিউজিল্যান্ড), দিমুথ করুনারত্নে (শ্রীলঙ্কা), কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড), বিরাট কোহলি (ভারত, অধিনায়ক), হেনরি নিকোলস (নিউজিল্যান্ড), রিশাব পান্থ (ভারত, উইকেটরক্ষক), জ্যাসন হোল্ডার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), কাগিসু রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা), নাথান লায়ন (অস্ট্রেলিয়া), জসপ্রিত বুমরাহ (ভারত) ও মোহাম্মদ আব্বাস (পাকিস্তান)।