নেত্রকোনায় বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রতিদিনই সূর্যমুখীর বাগানে ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে দর্শনার্থীরা ভিড় করছে। নেত্রকোণার বারহাট্রা উপজেলার চরসিংধা গ্রামে সৌখিন কৃষক শাহ মোরশেদ মাহবুব ৮০ শতাংশ জমিতে সুর্যমুখী ফুলের চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন এলাকায়। এখন জেলার অনেকেই এই ফুল চাষে উদ্বুদ্ধ হওয়ায় বাড়ছে সূর্যমুখীর আবাদ।
কৃষক শাহ মোরশেদ মাহবুব জানান, সূর্যমুখী আবাদে তার এক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সূর্যমুখীর বীজ বিক্রি করে কমপক্ষে আড়াই লাখ টাকা আয় হবে বলে আশা করছেন তিনি। তার বাগানে কাজ করে এলাকার অনেকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। বর্তমানে তার বাগানের প্রতিটি চারায় ফুল ফুটেছে। ফলে পুরো জমি জুড়ে তৈরি হয়েছে এক মন জুড়ানো সৌন্দর্য। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা বয়সী নারী-পুরুষ ভিড় করছেন। ঘুরে বেড়াচ্ছেন তার বাগানে। কেউ ছবি তুলছে, কেউ আবার এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন।
বাগানে ঘুরতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সোমাইয়া সুমি জানান, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক দিন ধরে ঘর থেকে বের হওয়া হয়না। এখানে এসে সূর্যমুখীর বাগানে ঘুরে তিনি দারুন খুশি। ফুলের সৌন্দর্য্যে অবিভূত।
বারহাট্রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাইমিনুর রশিদ জানান, এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষে উপযোগী। এজন্য দিন দিন বাড়ছে সূর্যমুখীর আবাদ। এতে কৃষি পর্যটনের সুযোগও তৈরি হচ্ছে। এছাড়া সূর্যমুখীর বীজ খুব সহজেই সরিষার ঘানি থেকে ভেঙে তেল উৎপাদন করা যায়। কৃষক যাতে এর সঠিক মূল্য পায় আর সহজে বাজারজাত করতে পারে এজন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতা করা হচ্ছে।
বারহাট্রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোর্শেদ জানান, কৃষি বহুমুখীকরনে বর্তমান সরকার অনেক কাজ করছে। বিশেষ করে কৃষকদের বিভিন্ন ফসলের প্রনোদনা দিচ্ছে। এই এলাকায় সূর্যমুখীর আবাদ বাড়ছে। এতে একদিকে কৃষক লাভবান হবেন। অন্যদিকে কৃষি বহুমুখীকরনে কৃষিতে সয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় সরকারের যে উদ্দেশ্য তাও বাস্তবায়ন হবে দ্রুত।