শেরপুরের নকলায় খাদেজা বেগম (৬০) নামের এক বৃদ্ধা হত্যার ৮দিন পরেই হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে থানা পুলিশ। তার দেবরই ছিল হত্যাকারী বলে জানিয়েছেন পুলিশ। ইতিমধ্যে ঘাতক দেবর দুলালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, উপজেলার ধনাকুশা মধ্যপাড়া এলাকার মৃত. আশকর আলীর স্ত্রী ছিলেন খাদেজা বেগম। নিহত খোদেজা বেগম ও তার দেবর দুলাল মিয়া (৫৫) একই পাকে খেত। দুলাল মিয়া সারাদিন কস্ট করে গরুর জন্য ঘাস কেটে নিয়ে এসে রাতের বেলায় তার ভাবী খোদেজা বেগমের কাছে ভাত খেতে চাইলে সে না করে। পরে পুনরায় খেতে চাইলে ভাত না দিয়ে রাগে খোদেজা বেগম ওই ভাতে পানি ডেলে দেয়। তাৎক্ষনিক ভাত খেতে না পেরে সেই রাগে খোদেজা বেগমের কাপরের আচঁল দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে ধরলে মারা যায় সে। এই হত্যার কথা জানাজানি হয়ে যাবে বলে দুলাল মিয়া বস্তাবন্দি করে বাড়ির পাশে খোলা যায়গাতে গর্ত করে মাটি চাপা দিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান বলেন, আমরা খোদেজা বেগমের লাশ উদ্ধারের পর থেকেই তার পরিবারের উপর নজর রাখি। তার দেবর দুলাল মিয়ার গতিবিধি আমাদের সন্দেহ হয়। তাকে আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল মঙ্গলবার আটক করলে সে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন এবং বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ মার্চে নিখোঁজ হওয়ার কয়েকদিন পরে বাড়ির পাশে খোলা যায়গার একটি গর্ত থেকে খোদেজা বেগমের বস্তাভর্তি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।