শেরপুরের নালিতাবাড়ীর চেল্লাখালী নদীর পানি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সোলার ইরিগেশন পাম্পিং সিস্টেম। এর আগে ওই নদী পানি ধরে রাখতে বাস্তবায়ন করা হয় রাবার ড্যাম প্রকল্প। এর পাশে হাইড্রোলিক স্ট্রাকচারের উপর পাঁচ কিউসেক ক্ষমতা সম্পন্ন এ পাম্পটি চালু করা হলো।
এই পাম্পের মাধ্যমে উজান থেকে নেমে আসা পানি শুস্ক মৌসুমে সরবরাহ করা সহজ হবে। ফলে ফসল উৎপাদনে হাজারো কৃষকএ থেকে উপকৃত হবেন।
জেলা বিএডিসি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনে কৃষি উৎপাদনে ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালি নদীর উপর প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রাবার ড্যাম প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। তারই উজানে হাইড্রোলিক স্ট্রাকচারের উপর পাঁচ কিউসেক ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার ইরিগেশন পাম্পিং সিস্টেম চালু করা হলো।
এটি স্থাপনে ব্যয় হয় এক কোটি ৩৮ লাখ ৫৯ হাজার ১২৪ টাকা। এখন এই পাম্পের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকরা সেচ সুবিধা নিয়ে ইরিগেশনের কাজ করছেন। আগামীতে সোলার ইরিগেশন পাম্পিং সিস্টেম পুরোদমে চালু হলে বিদ্যুৎচালিত পাম্প ব্যবহার না করে কৃষকরা খুব কম খরচে এর সুবিধা পাবেন।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল আওয়াল, রফিক ও তজু মিয়া বলেন, এক সময় শুস্ক মৌসুমে চেল্লাখালী এলাকায় পানির অভাবে ফসল উৎপাদন অসম্ভব ছিল। বর্তমান সরকার কৃষকদের কষ্ট লাঘবে এ নদীতে রাবার ড্যাম প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। এর মাধ্যমে উজান থেকে নেমে আসা পানি মজুদ রেখে শুস্ক মৌসুমে কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করা হচ্ছে। এখন নতুন করে সোলার ইরিগেশন পাম্পিং সিস্টেম চালু হওয়ায় প্রত্যেক কৃষক চাহিদা মাফিক পানি পাবেন।
এই প্রকল্পের পাম্প হাউজের দায়িত্বে থাকা মন্টু মিয়া জানান, সোলার পাম্পের সাহায্যে টানা ছয় ঘণ্টা পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়।
বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী আবু আহম্মেদ মাহমুদুল হাসান জানান, রাবার ড্যামে জমাকৃত ভূ-উপরিভাগের পানি সোলার পাম্পের মাধ্যমে কৃষকদের সরবরাহ করা হবে। আগামীতে এই পাম্পের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে এলাকার হাজারো কৃষক সেচ সুবিধা পাবেন।
বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় ১০টি ডিজেল, আটটি বিদ্যুৎ চালিত মোটর ও একটি পাম্প হাউজের মাধ্যমে ভূ-উপরিভাগের পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। আর এজন্য গঠন করা হয়েছে একটি পরিচালনা কমিটি।