ঈশ্বরগঞ্জে সরকারি কর্মচারীর প্রতারণা

Nurul-islamময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক সরকারি কর্মচারির প্রতারণার শিকার হয়েছেন এক সাংবাদিক।

জানাযায়, বিডিপ্রেস২৪ এর সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছ থেকে তিন বছর আগে লিখিত চুক্তির মাধ্যমে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ও চুক্তি ছাড়া ২ লক্ষ টাকা ধার নেয় ভূমি অফিসে কর্মরত মো. নুরুল ইসলাম। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও পাওনা টাকা ও চুক্তি ছাড়া নেয়া টাকার বিনিময়ে আড়াই শতাংশ নিস্কন্টক জমি লিখে না দেয়ার পায়তারা করছে নুরুল উসলাম।

অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, গত ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ইং তারিখে ঈশ্বরগঞ্জ ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক (পিয়ন) পদে কর্মরত মো: নূরুল ইসলাম আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে যোগাযোগ করে নিজের অসচ্ছলতার কথা জানায় ও ৩ লক্ষ টাকা ধার চায় দুই মাসের জন্য। তার পরিবারের লোকজনের কথায় মৌখিক ভাবেই ২ লক্ষ টাকা দেয়া হয় নুরুল ইসলামকে। দীর্ঘ দুই মাস পর পাওনা টাকা চাইলে দেই দিচ্ছি করে জুন মাসের ২০ তারিখে সে এই টাকা এখন দিতে পারবে না বলে জানায়। এমনকি তাকে আরো দুই লক্ষ টাকা ধার দিতে অনয়বিনয় শুরু করেন ও প্রয়োজনে স্ট্যাম্প করে এখনকার টাকা নিবেন বলে স্বীকার করেন আর আগের ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নুরুল ইসলাম দুইবছর পর আড়াই শতাংশ জমি লিখে দিবে এটাও স্ট্যাম্পে উল্লেখ করবে বলে নিশ্চিত করে। মামুন তার কথামতো মৎস চাষের জন্য জমানো টাকা থেকে ২০১৮ সালের ২৪ জুন ১,৬০০০০ টাকা নুরুল ইসলামকে নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প করে দেয়। এবং নুরুল ইসলাম দড়িউন্দ মৌজায় তার স্বত্ব দখলীয় পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে ৩০(ত্রিশ) শতাংশ জমি বন্ধকী দিয়ে ১,৬০০০০/=(একলক্ষ ষাট হাজার) টাকা নেয়। এমনকি এই জমি নুরুল ইসলাম নিজেই চাষাবাদ করে প্রতি আমন ফসলে ১০(দশ) মণ ও বোরো ফসলে ১০ (দশ) মণ ধান মামুনকে বুঝিয়ে দিবে বলে ৩০০/=(তিনশত) টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র করে নুরুল ইসলাম। কিন্তু অদ্যাবদী সে আমন ফসলের ১০(দশ) মণ ও বোরো ফসলের ১০ (দশ) মণ ধান মামুনকে বুঝিয়ে দেয় নাই। বর্তমানে মামুন তার পাওনাদি ফেরত চাইলে উল্টো নুরুল ইসলাম ১,৬০০০০/=(একলক্ষ ষাট হাজার) টাকা, চুক্তি মোতাবেক আড়াই শতাংশ জমি ও প্রতি বছরের পাওনা বিশ মণ ধান আর পরিশোধ করবে না বলে হুমকি দেয়। এমনকি তার কাছে কোনদিন মামুন তার পাওনাদি চাইলে নুরুল ইসলাম ও তার ছেলেরা মিথ্যা মামলাসহ মামুনকে হত্যার হুমকি দেয়। পরবর্তী সময় মামুন এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও দেন।

এব্যাপারে নুরুল ইসলাম নুরু বলেন, মামুন টাকা পাবে সত্য। এলাকার লোকজনও জানে। তবে সে টাকা পরিশোধ করতে আমার সময় লাগবে।

এব্যাপারে জানতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

Share this post

scroll to top