চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী সনাতন মজুমদারকে (৪৫) গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী লাকি মজুমদারের বিরুদ্ধে (৩০)।
সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দেওয়ানপুর গ্রামে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্ত্রী লাকি মজুমদারকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
জানা গেছে, উপজেলার তালবাড়িয়া এলাকার মেয়ে লাকীর সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দেওয়ানপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইকেল মিস্ত্রী সনাতনের। তাদের ঘরে জয়শ্রী মজুমদার শান্তা (১০) ও অপূর্ব মজুমদার (৮) নামে দুটি সন্তান জন্ম হয়। দুই বছর আগে হঠাৎ স্বামী-সন্তান রেখে পরকীয়ার টানে এক ব্যক্তির হাত ধরে টেকনাফে চলে যায় লাকি।
লাকি চলে যাওয়ার এক বছর পর সনাতন প্রিয়াংকা নামে একজনকে বিয়ে করেন।
কিছুদিন যেতে না যেতে হঠাৎ একদিন এসে হাজির হন লাকি। তখন থেকে প্রিয়াংকা ও লাকির মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকতো। একপর্যায়ে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। প্রতিদিন ঝগড়া, হাতাহাতি, মারামারি লেগেই থাকতো।
গতকাল সোমবার রাতে স্বামীকে গলা কেটে হত্যা করেন প্রথম স্ত্রী লাকি।
নিহত সনাতন মজুমদার (৪৫) উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দেওয়ানপুর গ্রামের অনু মিকার বাড়ির ভবরঞ্জনের পুত্র।
খুন হওয়া সনাতন মজুমদারের চাচা অমূল্য রঞ্জন মজুমদার বলেন, তাদের পরিবারে সব সময় ঝগড়া-বিভেদ লেগে থাকতো। একাধিকবার আমরা তাদের মীমাংসা করেছি। সনাতনও প্রায়সময় নেশা করে এসে স্ত্রীকে মারধর করতো।
এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সুজয় কুমার জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। করাত দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। হতাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তার প্রথম স্ত্রী লাকি মজুমদারকে আটক করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।