ময়মনসিংহে সুদের টাকা দিতে না পারায় আম্বিয়া খাতুন (৭০) নামে এক বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে গুরুতর আহত আম্বিয়া খাতুনকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানাযায়, নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দগাঁও গ্রামে মো.আশ্রব আলীর ছেলে মুর্শেদ আলী (৩০) পাশ্ববর্তী চামটা গ্রামের গিযাস উদ্দিনের ছেলে শাহজাহানের কাছ থেকে দুই মাস আগে দৈনিক সুদে ৫ হাজার টাকা নেয়। সুদের টাকা নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় সরকার বাড়ির সামনে চামটা-কালেঙ্গা সড়কে শাহজাহান ও মুর্শেদ আলীর বিবাদ ও মারধরের ঘটনা ঘটে। মুর্শেদকে শাহজাহান, তার ভাই কাঞ্চন ও আরজু, ছেলে আরমানসহ কয়েকজন লাঠিসোটা দিয়ে মারতে থাকলে মুর্শেদের মা আম্বিয়া খাতুন ছেলেকে রক্ষা করতে গেলে সেই লাঠির আঘাত তার শরীরে লাগে এবং তিনি গুরুতর আহত হন।
তারপর আম্বিয়া খাতুনকে নান্দাইল হাসপাতালে নিয়ে যাওযার পথে শাহজাহানের নেতৃত্বে চামটা বাজার এলাকায় দ্বিতীয় দফা হামলা ও মারধর করা হয়। এতে মুর্শেদের আহত মা আবারএ হামলার শিকার হন। মুর্শেদ সহ তার ভাই আব্দুল মতিন (৩০) ও আবুল কালাম (৫০) আহত হন।
পরে আম্বিয়া খাতুনকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আহত আব্দুল মতিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত বৃদ্ধার পুত্র আবুল কালাম জানান, তাদের বাড়ির পাশে আগুনিয়াপুরি বিলের দ্বারে শাহজাহানের নেতৃত্বে একটি জুয়ার আসর বসত। সেখানে জুযাড়িদের শাহজাহান দৈনিক ভিত্তিক চড়া সুদে টাকা দিতো। এ নিয়ে কালাম প্রতিবাদ করায় তাদের পরিবারের সাথে শাহজাহানের পূর্ব শত্রুতাও ছিল।
অভিযুক্ত শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যাযনি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার সাথে নয়, আমার ছোট ভাই কাঞ্চনের সাথে মুর্শেদের টাকার লেনদেন ছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রশিদ বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই ওই বৃদ্ধা মারা গেছেন। তবে কারও আঘাতে বা স্ট্রোক করে মারা গেছে কি-না বিষয়টি ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।’
জানতে চাইলে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।