গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২০ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে নাসরিন আক্তার নামে এক প্রসূতির অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে করা মামলায় তাদের বিরুদ্ধে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
সোমবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এ জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার নতুন দিন ধার্য করেন।
২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে মামলা করেন প্রসূতির স্বামী এস এ আলম সবুজ। আদালত পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নাসরিন, ডা. শওকত আলী আরমান, গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. দেলোয়ার হোসেন এবং সেবিকা শংকরী রাণী সরকার।
মামলার বাদি এস এ আলম সবুজের স্ত্রী নাসরিন আক্তার গত ২৪ সেপ্টেম্বর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের ধারণা ছিল, সেখানে ভালো চিকিৎসা পাবেন। কিন্তু সেবা পাননি। নাসরিন আক্তারের প্রসব বেদনার কথা সেবিকা শংকরী রাণীকে বারবার জানানো হলেও তিনি গুরুত্ব দেননি। রোগীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হলে সবুজ শংকরী রাণীকে ডাক্তার ডাকার অনুরোধ করেন। তখন শংকরী রাণী চিকিৎসক শুভ ও নুপুরকে ডেকে আনেন। তারা দু’জন এসে জানান, সবকিছু ঠিক আছে। এর পর শংকরী রাণী ডা. দেলোয়ার হোসেন ও ডা. নাসরিনকে আসার জন্য ফোন করা হয়েছে বলে জানান। কিন্তু কোনো ডাক্তার আসেননি। এ সময় ভুক্তভোগীকে স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ প্রয়োগের অনুরোধ করলে তারা তা করেননি। শংকরী রাণী স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ ছাড়াই তাকে জোর করে বাচ্চা প্রসব করান। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের একপর্যায়ে সবুজের স্ত্রী একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করেন এবং কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
মামলার অভিযোগে সবুজ আরো বলেন, তার স্ত্রীর মৃত্যুর পেছনে তাদের অবহেলা আছে বলে স্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা বিষয়টি নিষ্পত্তির আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে পাত্তা দেয়নি।
সূত্র : বাসস